আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৯৯৩ দিনের লড়াই, ৩১৭টা ফ্লাইট আর ৩-৪ ঘণ্টার ঘুম। 

লিওনেল মেসিকে আনার লড়াইয়ের কথা ফেসবুকে লিখেছিলেন স্পোর্টস প্রোমোটার শতদ্রু দত্ত। 

সেই মেসি কলকাতা শহরে পা রাখার পরে ফেসবুকে লিখেছিলেন, 'ডান ইট।'
তাঁকে কেন্দ্র করে সবাই বলছিলেন, অসাধ্যসাধন করেছেন বাঙালি সন্তান। 

শনিবার সেই তিনিই রাতারাতি নায়কের আসন থেকে খসে পড়লেন। মেসিকে কেন্দ্র করে তৈরি বিশৃঙ্খলার প্রেক্ষিতে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হলেন স্পোর্টস প্রোমোটার। 

মেসিকে আনতে চলেছেন শতদ্রু দত্ত, দেশের 
 প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিও বলেছিলেন ক্রীড়া সাংবাদিকদের ফুটবল প্রতিযোগিতায়।  

সেই শতদ্রু ফেসবুকে লিখেছিলেন,''এটা
নাবাই...তার পর বদ্দাকে এনে বিদায় নেব।'' 

'বদ্দা' মানে আরেক মহানায়ক। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তাঁকেও আনার জন্য সলতে পাকানোর কাজ হয়তো শুরুও করেছিলেন। কিন্তু মেসি-বিপর্যয় শতদ্রুকে বাস্তবের রুখা সুখা জমিতে আছড়ে ফেলল। 

মেসির জন্য সেজে উঠেছিল কলকাতা। টিকিট সব আগেই বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। শুক্রবার মধ্যরাতে আর্জেন্টাইন মহানায়ক কলকাতায় পা রাখেন। তার পর শনিসকালে শহরের সব রাজপথ এসে মেশে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। কিন্তু মেসি স্টেডিয়ামে পা রাখার পনেরো মিনিটের মধ্যেই এলোমেলো হয়ে গেল সব। 

যুবভারতী হয়ে গেল রণ-ভারতী। গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শকদের মেজাজ নিয়ন্ত্রণ হারাল। উড়ে এল বোতল। তার পরে লণ্ডভণ্ড করা হল স্টেডিয়াম। যে যুবভারতী ছিল বাংলার গর্ব, সেই স্টেডিয়ামই যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হল। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ভাঙা চেয়ার, বোতল। 

বদ্দাকে আনার ইচ্ছাপূরণ কি আর হবে স্পোর্টস প্রোমোটারের? শনিবারের পর কিন্তু প্রশ্নচিহ্ন পড়ে গেল।