আজকাল ওয়েবডেস্ক: রূপচর্চায় কাঁচা দুধ বহু যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শোনা যায় খোদ ক্লিওপেট্রা নাকি নিজের যৌবন ধরে রাখতে কাঁচা দুধ দিয়ে স্নান করতেন। এযুগে স্নান না করা গেলেও নিত্য দিনের রূপচর্চায় অল্প স্বল্প কাঁচা দুধ ব্যবহার করা যেতেই পারে।


১. প্রাকৃতিক 'ক্লিনজার': কাঁচা দুধ খুব ভাল ক্লিনজার হিসাবে কাজ করতে পারে। এটি ত্বকের ময়লা ও অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। অফিস থেকে ফিরে মুখ ধোয়ার সময়, তুলোর সাহায্যে কিছুটা কাঁচা দুধ মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ময়লা ভাব অনেকটাই কেটে যাবে।

২. ময়েশ্চরাইজার: কাঁচা দুধ ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতেও সাহায্য করে। যাঁদের ত্বক শুষ্ক, তাঁদের জন্য এটি খুবই উপকারী। অল্প একটু মধুর সঙ্গে কাঁচা দুধ মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। তার পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, দেখবেন ত্বক নরম ও কোমল হবে।
৩. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়: কাঁচা দুধ ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। নিয়মিত কাঁচা দুধ ব্যবহার করলে ত্বকের কালচে ভাব দূর হয় ও ত্বক দাগছোপহীন হয়। বিশেষ করে চোখের তলায় কালি পড়ে গেলে সেই দাগ তুলতে বিশেষ উপযোগী কাঁচা দুধ।

৪. বয়সের ছাপ কমায়: কাঁচা দুধে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বকের বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে এবং বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।

৫. ব্রণ কমায়: কাঁচা দুধ ব্রণ কমাতেও সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে।

৬. ত্বকের জ্বালা কমায়: কাঁচা দুধ ত্বকের জ্বালা ও লালচে ভাব কমাতে সাহায্য করে। যাঁদের ত্বক স্পর্শকাতর, তাঁদের জন্য কাঁচা দুধ খুবই উপকারী।

তবে কাঁচা দুধ সরাসরি ত্বকে লাগানোর আগে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। কাঁচা দুধ ব্যবহার করার আগে নিশ্চিত হতে হবে যে দুধে কোনও ভেজাল নেই। যদি ত্বকে কোনও সমস্যা থাকে, তাহলে কাঁচা দুধ ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।