আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ অতুল সুভাষ। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার এই যুবক ২৪ পাতার সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী হন। দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঝামেলা চলছিল। এর পরের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে গোটা দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। এই পরিস্থিতিতে শীর্ষ আদালত এক মামলার শুনানিতে জানিয়েছে, বৈবাহিক অশান্তির মামলায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বাকি সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনকে ‘‌স্বার্থপরের’‌ মতো ব্যবহার করা যায় না। 


মঙ্গলবার বিচারপতি বিভি নাগারত্ন ও এন কোটিশ্বর সিংয়ের বেঞ্চে এক ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৪৯৮এ ধারায় মামলার শুনানিতেই এই পর্যবেক্ষণের কথা জানায়। প্রসঙ্গত, তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট এই মামলাটা খারিজ করতে অসম্মত হয়েছিল আগে। এক মহিলা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে দ্বারস্থ হয়েছিল আদালতে। শুনানিতে দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দেশজুড়ে দাম্পত্য সমস্যার মামলা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিবাহ নামের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিরোধের সঙ্গে সঙ্গেই আইনের অপব্যবহারের প্রবণতাও বেড়েছে। স্বামী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ৪৯৮এ ধারাকে ব্যক্তি প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার একটি উপায় হিসেবে ব্যবহার করছেন স্ত্রীরা।’‌ 


মঙ্গলবার এই পর্যবেক্ষণের পর বুধবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, মহিলাদের সুরক্ষায় এই ৪৯৮এ ধারা আনা হলেও অনেকেই এটার অপব্যবহার করছেন। তাই এই ধরনের মামলা এলে আদালতকে সবকিছু খতিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কতা বলেছে শীর্ষ আদালত। যাতে অযথা কাউকে হয়রানির শিকার না হতে হয়। অর্থাৎ কোনও প্রমাণ ছাড়া পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা যায় না বলে পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটানোর অস্ত্র হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে নিষ্ঠুরতা সংক্রান্ত আইন। এই মর্মে আইনের অপব্যবহার নিয়ে সতর্ক করল সুপ্রিম কোর্ট।