আজকাল ওয়েবডেস্ক: একসময়ের দারুণ প্রতিভাবান। শচীন তেণ্ডুলকরের সঙ্গে জুটিতে ৬৬৪ রান করেছিলেন জুটিতে। অনেকেই বলতেন, শচীনের থেকেও প্রতিভাবান নাকি বিনোদ কাম্বলি।
রমাকান্ত আচরেকরের জন্য স্মৃতিসৌধের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিনোদ কাম্বলিকে দেখে বিস্মিত গোটা দেশ। নিজের কী অবস্থা করেছেন একসময়ের প্রতিশ্রুতিমান ক্রিকেটার? ভাল করে কথা বলতে পারছেন না। কথা জড়িয়ে যাচ্ছে। অনুষ্ঠান চলাকালীন একসময়ে শচীনের হাত ধরেছিলেন। শচীন প্রায় হাত ছাড়িয়ে চলে যান। ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে শচীনের গতিপথের দিকে তাকিয়েছিলেন কাম্বলি। পরে মাইক্রোফোন হাতে কাম্বলি জিজ্ঞাসা করেন, তিনি তাঁর প্রিয় স্যরের স্মরণে গান গাইবেন কিনা। তাঁকে বলা হয়, শর্ট কাটে ছাড়। পরে আরেকবার শচীনের মাথায় হাত দিয়ে কথা বলতে দেখা যায় কাম্বলিকে।
সেই কাম্বলির অবস্থা দেখার পরে স্থির থাকতে পারেননি দেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ওপেনার সুনীল গাভাসকর। তিনি জানান ১৯৮৩ সালের বিশ্বজয়ী ভারতীয় দলের সদস্যরা কাম্বলির দেখভাল করবে। সানি বলেন, ''তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে চিন্তিত ১৯৮৩-র বিশ্বজয়ী দল। আমার কাছে ওরা নাতির মতো। কেউ আবার ছেলের মতোও বটে। ভাগ্য বিড়ম্বনার শিকার হয়েছে কেউ শুনলে আমরা চিন্তিত হই। সাহায্য এই শব্দটায় আপত্তি রয়েছে আমার। আমাদের ৮৩-র দলটা ওর দেখভাল করব। বিনোদ কাম্বলিকে নিজের পায়ে দাঁড় করানোর চেষ্টা করব আমরা। কীভাবে তা সম্ভব হবে, তার উত্তর দেবে ভবিষ্যৎ। আমরা সেই সমস্ত ক্রিকেটারদের পাশে থাকতে চাই যাদের ভবিষ্যৎ তমসাচ্ছন্ন।''
ভারত-অস্ট্রেলিয়া অ্যাডিলেড টেস্টের ধারাভাষ্য দেওয়ার সময়ে সানি বাই কথাগুলো বলেন। কাম্বলির পাশে দাঁড়ানোর কথা জানান।
