আজকাল ওয়েবডেস্ক :  পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে নানা ধরনের দ্বীপ। এমন একটা দ্বীপের কথা কী কল্পনা করা সম্ভব? যেখানে মানুষের অস্তিত্বই নেই, নেই কোনো বাসস্থান! তবে ‘ইলহাদা কুইমাদা গ্রান্ডে’ নামক দ্বীপে রয়েছে রহস্যের পাশাপাশি সাপের আনাগোনা।

 

দ্বীপটির নাম যেমন অদ্ভুত, তেমনই সুন্দর। তবে দ্বীপটিকে নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে বিরাজ করে ভয়। অধিক পরিমাণে সাপের বসবাস থাকায় এই দ্বীপ থেকে মানুষ দূরেই থাকেন। ঘরবাড়ি বা চাষাবাদ করার আগ্রহ নেই কারও মাঝে। এই দ্বীপে গেলে সাপেদের সম্মুখীন হতেই হবে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখানে প্রতি বর্গমিটারে কমপক্ষে ৫টি সাপ থাকে। সাপের কারণে এই দ্বীপে পাখিদের আনাগোনাও কম। তবে অভিবাসনের সময় পাখিরা এখানে বিশ্রাম নেয়, আর তখনই শিকারে নেমে পড়ে সাপেরা।

 

ব্রাজিলের শহর সাও পাওলো থেকে ৩৩ কিলোমিটার দূরে এই দ্বীপের অবস্থান। আনুমানিক ১১ হাজার বছর আগে সমুদ্রপৃষ্ঠের উত্থানে ব্রাজিলের মূল ভূখণ্ড থেকে পৃথক হয়ে এটি দ্বীপে পরিণত হয়। এই দ্বীপে বিষধর সাপের মধ্যে পিট ভাইপার অন্যতম এবং এই দ্বীপটিই এই সাপের প্রধান আবাসস্থল। পৃথিবীর অন্যান্য বিষধর সাপের শত শত প্রজাতিও এখানে আছে। এমনকি বোথ্রপস ইনসুলারিসের মতো সাপও আছে এখানে।

 

এখানকার লাইটহাউস রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বহু বছর আগে একটি পরিবার বসবাস করতেন। তবে শোনা যায়, সাপের দল ঘরে ঢুকে পুরো পরিবারকে মেরে ফেলে! এরপর থেকে বছরে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সেই লাইটহাউসের কাজ করতে অভিজ্ঞ একটি টিম সেখানে যায়। কাজ শেষে আবার ফিরে আসে।