আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিতর্কিত ক্যাপ্টেন্সি অধ্যায় নিয়ে নতুন করে বোমা ফাটালেন দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। প্রকাশ্যে লেগে গিয়েছিল বিরাট কোহলি ও সৌরভের মধ্যে। সেই সময়ে মহারাজ ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের প্রেসিডেন্ট।
সেই সময়ে কোহলিকে ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকে সরানো হয়েছিল। রোহিত শর্মাকে তাঁর পরিবর্তে ক্যাপ্টেন করা হয়। কয়েক মাস পরে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান কোহলি। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শেষবার কোহলি নেতা ছিলেন। বিসিসিআই সেই সময়ে রোহিত শর্মাকে টি-টোয়েন্টির ক্যাপ্টেন করে। ওয়ানডের নেতৃত্বও তুলে দেওয়া হয় হিটম্যানের হাতে।
এর ফলে বিরক্ত হন কোহলি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য রওনা হওয়ার আগে কোহলি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন। তখন কোহলি ছিলেন ভারতের টেস্ট দলের ক্যাপ্টেন।
পরে কোহলি টেস্ট দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দেন। সেই প্রসঙ্গে সৌরভ বলেন, ''খুব স্বাভাবিক, সাদা বলের জন্য একজন অধিনায়কই থাকবে। ৫০ ওভার এবং ২০ ওভারে। আমরা সবসময় চেয়েছিলাম বিরাটই অধিনায়ক হোক, কিন্তু ও আর থাকতে চায়নি। রোহিত মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক ছিল। ৫০ ওভার এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও নেতৃত্ব দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পরে বিরাট টেস্টের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। আমাদের তখন একজন টেস্ট অধিনায়কের দরকার পড়ে। আমার মতে রোহিত ভাল অধিনায়ক। তাঁর কাছে আবেদন করে বোর্ড। সেই সময়ে ওয়ার্ক লোডের জন্য নেতৃত্বের ভার নিতে ইতস্তত ছিল। ওর সঙ্গে আমার আলোচনা এখনও মনে আছে। আমি বলেছিলাম, টেস্ট ম্যাচে ভারতের অধিনায়কত্ব না করে তুমি কি তোমার কেরিয়ার শেষ করতে চাও। রোহিত দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে। বন্ধুর মতো কথা বলা যায়। ওকে প্রস্তাব দিলে গ্রহণ করে। ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়ক কে না হতে চায়! এই সব কথাবার্তা ব্যক্তিগত ভাবে হয়েছিল। সেই সময়ে আমি বোর্ড প্রেসিডেন্ট ছিলাম। খেলোয়াড়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে, তাঁদের সঙ্গে কথা বলতাম।''
২০২২ সালের মার্চে ভারতের টেস্ট দলের ক্যাপ্টেন হন রোহিত। ভারতে খেলতে এসেছিল শ্রীলঙ্কা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত টেস্ট দলের নেতৃত্বের ব্যাটন ছিল হিটম্যানের হাতে।
