আজকাল ওয়েবডেস্ক: কলকাতা লিগের বল গড়ানোর পর থেকেই নানা অভিযোগ ভেসে আসছিল। বঙ্গীয় ফুটবল নিয়ামক সংস্থা আইএফএ-র বিরুদ্ধে অব্যবস্থা নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ জমা হচ্ছিল ফুটবলপ্রেমীদের মনে।
সোমবার বেরিয়ে পড়ল লিগের হতশ্রী চেহারাটাও। মোহনবাগান ও রেলওয়ে এফসি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ব্যারাকপুরের বিভূতিভূষণ বন্দ্য়োপাধ্যায় স্টেডিয়ামে। চড়া মেজাজের খেলায় মোহনবাগান ২-০ গোলে হারায় রেলওয়ে এফসিকে। সেই ম্যাচেই সবুজ-মেরুনের মার্শাল কিস্কুর ট্যাকলে গুরুতর চোট পান রেলওয়ের তারক হেমব্রম। চোট পাওয়ার মুহূর্তেই বোঝা যায় তা গুরুতর।
তারক মাঠে হাত ঠুকে দেখান তাঁকে তুলে নেওয়া হোক। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন তিনি। কোনও রকমে তাঁকে স্ট্রেচারে তুলে মাঠের বাইরে আনা হয়। তাঁর চোটগ্রস্ত পায়ে দুটো ছাতা দিয়ে সাপোর্ট দেওয়া হয়। সেই ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তা নিয়ে চলছে নিরন্তর চর্চা। ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার হরমনজ্যোৎ সিং খাবরা সেই ছবি শেযার করে লিখেছেন, ''উই ওয়ান্ট টু কোয়ালিফাই ফর ওয়ার্ল্ড কাপ।''
চোট পাওয়া তারক হেমব্রমকে তোলা হয় অ্যাম্বুল্যান্সে। এদিকে স্টেডিয়ামে এসে উপস্থিত হন ইউনাইটেডের কর্তা নবাব ভট্টাচার্য। তারককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা হয়। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় সেই অ্যাম্বুল্যান্সটি নিয়ে। ডাকা হয় আরেকটি অ্যাম্বুল্যান্স। তারককে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকুরিয়া মণিপাল হাসপাতালে। চিকিৎসক কাঞ্চন ভট্টাচার্যের অধীনে ভর্তি করা হয়েছে তারককে।
ইস্টবেঙ্গলের কর্তা শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত নিজেও চিকিৎসক। তিনি বলছেন, ''এই ধরনের কিছু হলে ব্রেস দরকার। দেখে মনে হচ্ছে হাঁটুর জয়েন্টে চোট লেগেছে তারকের। এই ধরনের কিছুতে আমরা ব্রেস পড়াই। কিন্তু ব্রেসটা দরকার ছিল। মোটা করে ক্রেপ ব্যান্ডেজ বাঁধলেও হত। দরকার ছিল ক্রাচ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে যাতে ক্রাচ ব্যবহার করতে পারে। দেখে তো মনে হচ্ছে এগুলো কিছুই ছিল না।এটা প্রিমিয়ার লিগের খেলা। সমস্ত ব্যবস্থা থাকাটা বাঞ্চনীয়। আমি অবশ্য অন্য একটা বিষয় নিয়ে আশঙ্কিত। যদি আরও ভয়ঙ্কর চোট লাগত? যদি সিপিআর দেওয়ার দরকার হত, তাহলে কী হত?''
প্রতিবার লিগ শুরু হলেই অব্যবস্থা, অভাব-অভিযোগের কথা শোনা যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।
