আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘরের মাঠে চেন্নাইয়ের কাছে হারে প্লে অফের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অন্যান্য দলের পয়েন্ট নষ্টে হালকা একটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে। তবে নিজেদের বাকি তিন ম্যাচ জেতার পাশাপাশি অন্যান্য দলের রেজাল্টের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে অস্কার ব্রুজোকে। বিশেষ করে মুম্বই সিটি এফসি, নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড, ওড়িশা এফসি এবং চেন্নাইনের দিকে। তবে হঠাৎ অপ্রত্যাশিতভাবে পাওয়া সুযোগ দু'হাতে লুফে নিতে চান অস্কার। তাই শেষ তিন ম্যাচ জিততে মরিয়া। এর আগেও পরপর দুটো ম্যাচ জিতে তৃতীয় ম্যাচে হোঁচট খেতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। চলতি মরশুমে এখনও একটানা তিন ম্যাচ জেতেনি লাল হলুদ। এবার সেই ধারা ভঙ্গ করে জয়ের হ্যাটট্রিক করতে মরিয়া। ব্রুজো বলেন, 'আমরা অনেকদিন ধরে টানা তিনটে জয়ের কথা বলছি। এবার সেই সম্ভাবনা রয়েছে। দলকে আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছে। ফর্মে আছে। ভাল রেজাল্টের বিষয়ে বদ্ধপরিকর। আমরা ভাল জায়গায় শেষ করতে চাই। তবে প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। এটা প্রথম লেগের হায়দরাবাদ নয়। গোয়া এবং বেঙ্গালুরুর সঙ্গে ড্র করেছে। জামশেদপুরকে হারিয়েছে। ওদের জয়ের খিদে রয়েছে। আমরা দ্রুত গোল তুলে নেওয়ার চেষ্টা করব। আমরা এখনও সুপার সিক্সের স্বপ্ন দেখছি।'
হায়দরাবাদ ম্যাচে নাও পাওয়া যেতে পারে নন্দকুমার এবং বিষ্ণুকে। তাঁদের ছাড়াই ছক সাজাচ্ছেন ব্রুজো। সেলিসও এখনও সম্পূর্ণ ফিট নয়। মহমেডানের পর দিল্লিতে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। গোলে ফিরেছেন দিমিত্রিয়স ডিয়ামানটাকোস। লাল হলুদ কোচ মনে করছেন, মেসির সংযোজনে কিছুটা সুবিধা হয়েছে গ্রিক স্ট্রাইকারের। অস্কার বলেন, 'আমার দলে কোনও একনম্বর স্ট্রাইকার নেই, সবাই প্লেয়ার। সবার প্রতিদিন প্র্যাকটিসে নিজেকে প্রমাণ করতে হয়। দিমি আছে। ও আত্মবিশ্বাসী। তবে ওর সাপোর্ট দরকার ছিল। মেসি দলে যোগ দেওয়ার পর দিমি সেটা পেয়েছে।' আইএসএলের সুপার সিক্সে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। সামনে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ রয়েছে। তবে সেই কথা ভেবে আইএসএল থেকে ফোকাস সরাতে চাইছেন না ইস্টবেঙ্গল কোচ। তাই দল দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ভাবনাও নেই তাঁর। আচমকা পাওয়া সুযোগে আবার আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন।
