আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোমবার দুপুর থেকেই মোহনবাগান তাঁবুর বাইরে সমর্থকদের জটলা। আরজি কর কাণ্ডের জেরে ডার্বি বাতিল হয়েছে। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনাল সরে গিয়েছে জামশেদপুরে। অবশেষে ম্যাচ ফিরছে কলকাতায়। স্বভাবতই খুশি সমর্থকরা। তার একটা খণ্ডচিত্র দেখা গেল মোহনবাগান মাঠে। সোমবার বিকেল পাঁচটা থেকে নিজেদের মাঠে প্র্যাকটিস ছিল বাগানের। তার ঘণ্টা খানেক আগে থেকেই ভিড় করে সমর্থকরা। তবে দিমিত্রি, কামিন্সদের দেখার জন্য অপেক্ষা একটু দীর্ঘায়িত হয়। ড্রেসিংরুমে লম্বা ক্লাস নেন হোসে মোলিনা। দেখানো হয় বেঙ্গালুরু ম্যাচের কিছু ভিডিও ক্লিপিংসও। প্রায় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় প্র্যাকটিসে নামে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। তার আগে অবশ্য জিমেও কিছুটা সময় কাটায় ফুটবলাররা।
পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে কষ্টার্জিত জয়ের তিনদিন পরই নামতে হবে আরও একটি কঠিন ম্যাচে। শেষ চারের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু। এবার দলে বেশ কয়েকটা পরিবর্তন হয়েছে। নোগুয়েরা, পেরেরা ডিয়াজরা দলে যোগ দেওয়ায় বেঙ্গালুরুর শক্তি আরও বেড়েছে। তারওপর রয়েছেন সুনীল ছেত্রী। প্রতিপক্ষের ওজন সম্বন্ধে অবগত হলেও কোনও নির্দিষ্ট প্লেয়ারকে নিয়ে ভাবছেন না হাবাসের উত্তরসূরি। মোলিনা বলেন, 'আমি আগে যখন কলকাতায় কোচিং করিয়েছি, তখন বেঙ্গালুরু আই লিগ খেলত। তবে আমি পরবর্তীতে আইএসএলে ওদের খেলা দেখেছি। শক্তিশালী দল। ভাল ফুটবলার আছে। তবে নির্দিষ্ট কোনও প্লেয়ারকে নিয়ে আমার বিশেষ পরিকল্পনা নেই। সুনীলকে নিয়েও না। আমি ওকে চিনি। ওকে সম্মান করি। কিন্তু ওকে আটকানোর আমার কোনও স্পেশাল প্ল্যান নেই। আমাদের বেঙ্গালুরুর এগারোজনের বিরুদ্ধে খেলতে হবে।' ঘরের মাঠে ফিরছে ম্যাচ। সমর্থকদের সামনে খেলার সুযোগ পেয়ে খুশি বাগান কোচ। জানান, এটা দলকে মোটিভেট করবে।
সেমিফাইনালেও পাওয়া যাবে না জেমি ম্যাকলারেনকে। নেই আশিক কুরুনিয়ন এবং ধীরাজ সিংও। বাকি সবাইকেই পাওয়া যাবে। তবে প্রথম একাদশে কি দেখা যাবে দিমিত্রি, কামিন্স জুটিকে? কোনও রাখঢাক না করেই বাগান কোচ জানিয়ে দিলেন, দু'জনেই ৯০ মিনিট খেলার মতো জায়গায় নেই। মোলিনা বলেন, 'দিমি এবং কামিন্সের ৯০ মিনিট খেলার মতো ম্যাচ ফিটনেস নেই। দিমিত্রি দেরিতে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। তবে ভাল ট্রেনিং করছে। গত সপ্তাহে কামিন্সের চোট ছিল। কয়েকটা ট্রেনিং সেশনে যোগ দিয়েছে। এখনও ৯০ মিনিট খেলার মতো জায়গায় নেই। সবে মাত্র চার সপ্তাহ ট্রেনিং চলছে। দলের মধ্যে বোঝাপড়া বাড়তে সময় লাগবে।' পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে তিন গোল হজম করেছে বাগান। তবে সেই নিয়ে ভাবছেন না মোলিনা। ডিফেন্স নিয়ে বাড়তি চিন্তা নেই। টিমগেমই ভরসা। ৯০ মিনিটের মধ্যেই ম্যাচ শেষ করতে চান স্প্যানিশ কোচ। তবে টাইব্রেকারের জন্য দলকে তৈরি রাখছেন বাগান কোচ। মোহনবাগান-বেঙ্গালুরু ম্যাচই কার্যত ফাইনাল। কিন্তু সেটা মনে করছেন না মোলিনা। ধাপে ধাপে এগোতে চান। এদিন প্র্যাকটিসে দারুণ মেজাজে ছিল বাগান শিবির। নিজেদের মধ্যে হাসি-ঠাট্টায়, মশকরায় মাতে দিমিত্রি, কামিন্সরা। সেমিফাইনালের আগে দারুণ পরিবেশ বাগান শিবিরে। বোঝাই যাচ্ছে হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগে ফুটবলারদের চাপমুক্ত রাখতে চাইছেন মোলিনা।
