আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে যশপ্রীত বুমরার ওয়ার্কলোড নিয়ে চর্চা চলছে। মহারণের আগের দিন এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন উমর গুল। জানান, তাঁদের সংস্কৃতি সম্পূর্ণ আলাদা। তিনি জানান, পাকিস্তানের প্লেয়াররা ৭০-৮০ শতাংশ ফিট থাকলেই খেলার চেষ্টা করে। কারণ পাকিস্তান ক্রিকেটে রোটেশন পলিসি সেইভাবে নেই। তারওপর ভয়। নতুন প্লেয়ার ভাল খেললে, তাঁদের চিরতরের মতো ছেঁটে ফেলা হতে পারে। সেখানে বুমরার ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের জন্য পাঁচ টেস্টের মধ্যে তিনটে টেস্টে খেলানো হয়। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট প্রসঙ্গে গুল বলেন, 'আমাদের পাকিস্তান ক্রিকেট সংস্কৃতি অন্যরকম। আমরা যখন খেলতাম, সিনিয়র প্লেয়াররা বিশ্রাম নিতে ভয় পেত। সে যদি ৭০-৮০ শতাংশ ফিট থাকত, খেলতে চাইত। কারণ যদি অন্য কোনও প্লেয়ার এসে ভাল খেলে দেয়, তাহলে সেই নির্দিষ্ট প্লেয়ার জায়গা হারাবে। আমাদের সংস্কৃতিতে রোটেশন পলিসি ছিল না। আমরা শুধু পারফরম্যান্স দেখি। যদি কোনও নতুন ছেলে ভাল খেলে, তাহলে তাঁকেই দলে নেওয়া হবে। তাই আমার মনে হয়, রোটেশন পদ্ধতি চালু করা উচিত। সিনিয়র প্লেয়ারদের অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। সে যদি ফিট হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে তাঁকেই খেলানো উচিত।' 

তিনি মনে করেন, সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের পাশাপাশি ইনজুরির বিষয়টা টিম ম্যানেজমেন্টের দেখভাল করা উচিত। একইসঙ্গে রিকভারি প্ল্যান থাকা দরকার। গুল বলেন, 'প্লেয়ারদের একটা দায়িত্ব থাকা উচিত। ট্রেনার এবং মেডিক্যাল স্টাফদেরও। দুই পক্ষেরই দায়বদ্ধতা থাকা উচিত। প্লেয়ার নিজে বুঝতে পারে ফিট হতে কতদিন লাগবে। কীভাবে চোট পেয়েছে সেটা ডাক্তার জানিয়ে দেবে। দুই সপ্তাহ না পাঁচ সপ্তাহ বিশ্রাম নিতে হবে, সেটাও জানিয়ে দেবে। তবে কতদিন বিশ্রাম লাগবে এবং সম্পূর্ণ ফিট হতে সময় লাগবে, সেটা প্লেয়াররা জানে।' 

আর মাত্র একদিন। রাত পোহালেই ভারত-পাকিস্তান মহারণ। ম্যাচের ৪৮ ঘণ্টা আগে সমর্থকদের জন্য বিশেষ বার্তা দেন কামরান আকমল। বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ভাল না। তাই আগাম সতর্কবাণী। কামরান আকমল বলেন, 'ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত হবে। তাই ভয় রয়েছে। ম্যাচটা ঠিকঠাকভাবে হলে, সম্পর্কে উন্নতি হওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে।' স্টেডিয়ামে নিজেদের আচরণ সংযত রাখার কথা বললেন কামরান। যাতে কোনও বিপত্তি না ঘটে। আকমল বলেন, 'ফ্যানদের খোলা মনে মাঠে এসে ম্যাচটা উপভোগ করা উচিত। অতীতের মতো পরিবেশ হওয়া উচিত। আমি সমর্থকদের অনুরোধ করব যাতে ওরা লাইন না অতিক্রম করে। তাঁরা পাকিস্তানের সাপোর্টার হোক বা ভারতের। ওদের ম্যাচটা সফল করতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে আরও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হয়।' পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার ঘটনার পর প্রথমবার মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। তাই ম্যাচকে কেন্দ্র করে বিতর্কের শেষ নেই।