আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রায় এক বছর পর ফিরেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। কিন্তু ইংল্যান্ড সিরিজে সেই চেনা ফর্মে দেখা যায়নি মহম্মদ সামিকে। কিন্তু আইসিসি টুর্নামেন্ট শুরু হতেই সামি যেন অন্যরকম। টিম ইন্ডিয়ার প্রথম ম্যাচেই তাঁর পাঁচ উইকেটে ধসে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ৫০ ওভারের শেষে মুশফিকর রহিমরা ২২৮ অল আউট। এই রানটাও হত না যদি না রোহিত জাকেরের লোপ্পা ক্যাচ মিস করতেন। রোহিতের ক্যাচ মিসের পর একাধিক ফিল্ডিং মিস হয়েছে টিম ইন্ডিয়ার। ক্যাচ ফেলেন হার্দিক, স্টাম্পের সুযোগ মিস করেন কিপার রাহুলও।

 

বাংলাদেশের হয়ে শতরান করেছেন তৌহিদ হৃহয়। ১১৮ বলে ১০০ করে দলকে লড়াইয়ের জায়গায় এনে দিয়েছেন তিনি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন জাকেন হুসেন(৬৮)। এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। খেলার শুরুতেই প্রথম দু’ওভারে দুটি উইকেট হারায় তারা। একটি নেন শামি এবং একটি নেন হর্ষিত রানা। ওপেনার তানজিদ হাসান(২৫) পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর প্রতিপক্ষকে জোড়া ধাক্কা দেন অক্ষর প্যাটেল।

 

পরপর দু’বলে মুশফিকর রহিম এবং তানজিদকে আউট করে ৩৫ রানে বিপক্ষের পাঁচ উইকেট ফেলে দেন তিনি। কিন্ত হ্যাটট্রিক বলে ফার্স্ট স্লিপে দাঁড়িয়ে জাকেরের লোপ্পা ক্যাচ ধরতে পারেননি রোহিত শর্মা। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ১৫৪ রানের পার্টনারশিপ করেন তৌহিদ এবং জাকের। সামির স্লোয়ারে জাকের ফেরার পর আর বাংলাদেশকে বড় পার্টনারশিপ করার সুযোগ দেয়নি টিম ইন্ডিয়া। তবে সবকিছুর মাঝে লড়াকু শতরান করে বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রাখলেন তরুণ তৌহিদ। দুবাইয়ের প্রবল গরমে তাঁর শরীরে ক্র্যাম্প ধরলেও ব্যাট হাতে লড়ে গেলেন তিনি। ভারতের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এই ম্যাচের আগে তৌহিদের সর্বোচ্চ রান ছিল অপরাজিত ৯৬। এদিন তৌহিদ ওয়ানডে ফরম্যাটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটি পেলেন।