আজকাল ওয়েবডেস্ক: এজবাস্টন টেস্টের ফলাফল কী হবে, তা বলবে সময়। কিন্তু এই টেস্টের নায়ক একজনই। তিনি শুভমান গিল। প্রথম ইনিংসে ২৬৯ রানের পরে দ্বিতীয় ইনিংসেও গর্জে উঠল গিলের ব্যাট। ১৬১ রানে শেষ হল গিলের মহাকাব্যিক ইনিংস। একাধিক রেকর্ড গড়লেন তিনি। সবার মনে যখন একটাই প্রশ্ন, কখন ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করবে ভারত, ঠিক সেই সময়েই গিল ডেকে নিলেন তাঁর সেনানীদের। ৬ উইকেটে ৪২৭ রানে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করল ভারত। টিম ইন্ডিয়া এগিয়ে ৬০৭ রানে। শনিবারের ১৯ ওভার ও রবিবারের সারাটা দিন ব্যাট ও বলের লড়াই হবে। 

দুর্দান্ত শুভমান গিল বললেও কম বলা হবে। তিনি সেই 'মিডাস রাজা'র কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন। যা ধরছেন তাতেই সোনা ফলাচ্ছেন। হেডিংলি টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিনি। এজবাস্টনেও গিলের ব্যাটে রানের ফল্গুধারা।

প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ২৬৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে গিল ফের শতরান করলেন। একই টেস্ট ম্যাচে ডাবল হান্ড্রেড ও হান্ড্রেড করেছেন অনেকেই। এই তালিকায় রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ডুগ ওয়াল্টার্স, সুনীল গাভাসকর, লরেন্স রো, গ্রেগ চ্যাপেল, গ্রাহাম গুচ, ব্রায়ান লারা, কুমার সঙ্গকারা, মারনাস লাবুশেনের মতো তারকারা।

সেই তালিকায় নবতম সংযোজন ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল। একাধিক নজির গড়লেন ভারতের তরুণ অধিনায়ক। সম্প্রচারকারী চ্যানেলে বলা হচ্ছিল শুভমান যুগ শুরু হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটে। এই সফরের আগেও গোটা দেশ তাঁকে বিদেশ সফরে পয়েন্ট দিত না। ইংল্যান্ড সফর এক ঝটকায় বদলে দিল শুভমান গিলকে। 

১৬২ বলে দুরন্ত ১৬১ রানের ইনিংস খেললেন ভারত অধিনায়ক। প্রথম ইনিংসে তিনশো রান মাঠে ফেলে এসেছিলেন বলে যোগরাজ সিংয়ের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছিলেন, ক্রাইম করেছে। এদিন গিল শাসন করলেন ইংল্যান্ডের বোলারদের। থামার কোনও লক্ষ্মণই ছিল না। তাঁর সঙ্গী রবীন্দ্র জাদেজাও (৬৯) যোগ্য সঙ্গত করেন তাঁকে। ঋষভ পন্থও চটজলদি ৬৫ রান করে যান। কিন্তু এদিন সবাই ব্যাকসিটে। সামনের সিটে একজনই। তিনি শুভমান গিল।