আজকাল ওয়েবডেস্ক: এবার ভারতে হতে চলেছে মহিলাদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আর মহিলাদের বিশ্বকাপ মানেই অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের দাপট। ভারত একবারও বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। দু’বার ফাইনালে উঠে হারতে হয়েছে। চলতি বছরে ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তার আগে ভারতীয় মহিলা দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের গর্জন, ‘এবার সব বাধা ভেঙে দেব।’
৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে মহিলাদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। অর্থাৎ আর মাত্র ৫০ দিন বাকি। সোমবার মুম্বইয়ে সুদৃশ্য ট্রফি উন্মোচন করা হল। উপস্থিত ছিলেন আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সইকিয়া প্রমুখ। ছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার যুবরাজ সিং, মিতালি রাজ। বর্তমান ভারতীয় দলের মধ্যে ছিলেন হরমনপ্রীত কৌর, স্মৃতি মন্ধানা, জেমাইমা রদ্রিগেজ।
হরমনপ্রীত বলেন, ‘দেশবাসীরা এতদিন অপেক্ষা করেছে। আমরা এবার সব বাধা ভেঙে দিতে চাই। বিশ্বকাপ সবসময় স্পেশাল, দেশের জন্য সবসময় সেরাটা দিতে চেয়েছি। যখনই আমি যুবি ভাইয়াকে (যুবরাজ সিং) দেখি, ততবার বাড়তি শক্তি পাই।’ ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ রয়েছে। যে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলা সবসময় কঠিন। তাতে বোঝা যায়, আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছি। এই ধরনের সিরিজ আত্মবিশ্বাস দেয়। আমরা অনুশীলনেও প্রচুর পরিশ্রম করছি।’
এর আগে ২০০৫ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৯৮ রানে পর্যুদস্ত হতে হয়েছিল মিতালি রাজের দলকে। তারপর ২০১৭ সালে ফাইনালে উঠলেও শেষরক্ষা হয়নি। সেবারও মিতালি রাজের দল ৯ রানে হেরেছিল। এবার কি সত্যিই বাধা ভাঙতে পারবেন হরমনপ্রীতরা? সময় দেবে উত্তর।
এদিকে, ভারতের ক্রীড়াক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ। লোকসভায় পাস হয়ে গেল স্পোর্টস বিল। এটা ঘটনা, দীর্ঘ সময় ধরেই চেষ্টা চলছিল। অবশেষে লোকসভায় পাশ হল জাতীয় স্পোর্টস গভর্নেন্স বিল। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্যর মতে, স্বাধীনতার পর ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সংস্কার। পাশাপাশি জাতীয় মাদক–বিরোধী বিলও পাশ হয়েছে লোকসভায়। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য বলেন, ‘স্বাধীনতার পর এটাই ভারতীয় ক্রীড়ায় সবচেয়ে বড় সংস্কার। এই বিলের ফলে প্রত্যেকে দায়িত্বশীল হবে। প্রতিটি ক্রীড়া সংস্থা সরকারের এক ছাতার তলায় থাকবে। ভারতীয় ক্রীড়ার ইকোসিস্টেমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। দুঃখের বিষয়, এতদিন এর বিরোধিতা হয়ে আসছিল।’
ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, দায়িত্বশীলতা এবং বিশ্বমানের পরিকাঠামোর জন্য এই বিল পাশ হওয়া জরুরি ছিল বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী। ২০৩৬ সালে অলিম্পিক আয়োজনের লক্ষ্য ভারতের। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া ইভেন্ট আয়োজনের ক্ষেত্রে সঠিক পরিকাঠামো প্রয়োজন। এর জন্য এই বিল পাশ হওয়া গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ক্রীড়ামন্ত্রী আরও বলেন, ‘এর আগে ১৯৭৫ সালেও এই চেষ্টা হয়েছিল। এরপর ১৯৮৫ সালেও। খসড়া প্রস্তুত ছিল। কিন্তু ক্রীড়াক্ষেত্রে রাজনীতির অবাধ প্রবেশ এবং ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য এই বিল নিয়ে অনেকেই বিরোধিতা করে এসেছে। ২০১১ সালে আমরা ন্যাশনার স্পোর্টস কোড আনি। এই বিল পাশের আরও একটা উদ্যোগ তখন থেকেই শুরু হয়েছিল।’
