আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাঁচটা টেস্টের একটিতেও জায়গা হয়নি কুলদীপ যাদবের। অনেকেই এর উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না। প্রাক্তন ক্রিকেটাররা কুলদীপের জন্য গলা ফাটাচ্ছেন। কিন্তু তাতে কর্ণপাতই করছেন না গৌতম গম্ভীর ও শুভমান গিল।
ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিও কুলদীপকে দলে নেওয়ার পক্ষে। আগের টেস্ট ম্যাচগুলোতে কুলদীপকে প্রথম একাদশে রাখা উচিত ছিল বলেই মনে করেন মহারাজ। কোয়ালিটি স্পিনার ছাড়া প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট তোলা কঠিন।
ওভাল টেস্টে তিন পেসার ও দু'জন বোলিং অলরাউন্ডার নিয়ে খেলতে নেমেছে ভারত। কুলদীপকে নেওয়া হয়নি। ২০২৪ সালের অক্টোবরের পরে কুলদীপ যাদব আর একটিও টেস্ট ম্যাচ খেলেননি। নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষবার তিনি খেলেছিলেন। ২০১৭ সালে অভিষেক হয়েছিল কুলদীপের। তার পর থেকে তিনি মাত্র ১৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন। ৫৬টি উইকেট তাঁর ঝুলিতে। চার বার পাঁচ উইকেট নেন।
এক সাংবাদিক বৈঠকে সৌরভ বলেন, ''ইংল্যান্ড চারজন ফাস্ট বোলার নিয়ে খেলছে। উইকেটে ঘাস রেখে দিয়েছে বলেই আমার মনে হয়। ওরা যদি চার জন ফাস্ট বোলার নিয়ে খেলে আর কোনও স্পিনার না রাখে, তাহলে আরও ঘাস থাকবে, যা সিমারদের সাহায্য করবে। এই কারণেই হয়তো কুলদীপকে রাখা হয়নি।''
সৌরভ মনে করেন দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্ট ম্যাচে কুলদীপের খেলা উচিত ছিল। সৌরভ বলছেন, ''আশা করেছিলাম ম্যাঞ্চেস্টার, লর্ডস ও বার্মিংহ্যামে কুলদীপ খেলবে। কোয়ালিটি স্পিন ছাড়া পাঁচদিনের ম্যাচে একটা টিমকে আউট করা কঠিন। ম্যানচেস্টারে ভারত ব্যাট করছিল এবং পিচ রুক্ষ ছিল, শেষ দিনে বল টার্ন করছিল। কিন্তু ওদের দলে ভাল মানের স্পিনার না থাকায় ২০ উইকেট পায়নি। অতীতে গ্রেম সোয়ান, মন্টি পানেসার, মুরলীধরন, অনিল কুম্বলে, হরভজন সিং এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো বোলার ছিল, যারা পঞ্চম দিনেও উইকেট পেত। কুলদীপ এমন একজন যাকে ভবিষ্যতে খেলাতেই হবে ভারতকে।''
সবাই যখন কুলদীপকে দলে নেওয়ার জন্য তদ্বির করছেন, তখন গৌতম গম্ভীর ও শুভমান গিল একপ্রকার স্থিরই করে ফেলেছেন, তাঁরা কুলদীপকে দলে নেবেনই না।
এদিকে, ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল আথারটন ভারতের হেডস্যর গৌতম গম্ভীরকে নিয়ে সন্দিহান। তিনি বলেছেন, ''দুটো সিরিজ পর পর হেরেছে ভারত। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৩-০-এ হারার পরে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতেও ৩-১-এ হার মানে ভারত। এবার যদি সিরিজ হারে তাহলে কিন্তু কোচ হিসেবে প্রবল চাপে পড়ে যাবে গম্ভীর।''
ভারতের ক্রিকেটভক্তরা কিন্তু মোটেও সহিষ্ণু নন। ম্যাচ জিতলে ঠিক আছে। হেরে গেলেই গোটা দেশ আলোড়িত হয়। সেই প্রসঙ্গের উত্থাপ্পন করে আথারটন বলছেন, ''ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীরা একদমই ধৈর্যশীল নন। ভারত যখনই মাঠে নামবে, তখনই দল জিতবে বলে আশা করা হয়। টানা তিনটি টেস্ট সিরিজ হেরে বসলে গম্ভীরের পক্ষে সমস্যা হয়ে যাবে।''
আরও পড়ুন: ৯৬১ দিনের অপেক্ষা! এবারও খুলল না কপাল, ইংল্যান্ড থেকে খালি হাতে ফিরছেন বাংলার তারকা
