আজকাল ওয়েবডেস্ক: টি–টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে নয়া রেকর্ড গড়ল ইংল্যান্ড। যে রেকর্ড আজ অবধি কোনও দল গড়তে পারেনি।
টি–টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে এই প্রথম আইসিসি’র কোনও পূর্ণ সদস্য দেশ স্কোরবোর্ডে ৩০০ রান তুলল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঝড় তুলে ৩০৪ রান তুলল ইংল্যান্ড। যার মধ্যে একা ফিল সল্টেরই ১৪১ রান। আর ইংরেজরা জিতল ১৪৬ রানে। এই দিনটার অপেক্ষাতেই বোধহয় ছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
ম্যাঞ্চেস্টারে সিরিজের দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টি ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল ইংল্যান্ড। শুরু থেকেই ঝড় তুলে দেন ফিল সল্ট। মাত্র ৩৯ বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৬০ বলে ১৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৫টি চারের পাশাপাশি ছিল ৮টি ছক্কা। স্ট্রাইকরেট ২৩৫.৬০। এই নিয়ে টি–টোয়েন্টিতে চারটি সেঞ্চুরি হয়ে গেল সল্টের। ছুঁয়ে ফেললেন সূর্যকুমার যাদবকে। ৫টি সেঞ্চুরি–সহ তাঁর সামনে আছেন রোহিত শর্মা ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। মাত্র ৪২টা ইনিংসে চারটে সেঞ্চুরি করলেন সল্ট। যা টি–টোয়েন্টিতে দ্রুততম।
আইসিসি’র পূর্ণ সদস্যদের মধ্যে এতদিন টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান ছিল ভারতের। ২০২৪ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২৯৭ রান করেছিলেন সূর্যকুমাররা। তবে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান রয়েছে জিম্বাবোয়ের। গাম্বিয়ার বিরুদ্ধে ৩৪৪ করেছিল তারা। কিন্তু গাম্বিয়া আইসিসি’র পূর্ণ সদস্য নয়। অর্থাৎ প্রথম আইসিসি পূর্ণ সদস্য হিসেবে ৩০০ রানের গণ্ডি অতিক্রম করল ইংল্যান্ড। ৯ ওভারে তারা পৌঁছে যায় ১৫০ রানে। ২০০ রান করে ১২.১ ওভারে। তার চার ওভারের মধ্যে ২৫০ রান করে ফেলে। জস বাটলার ৩০ বলে ৮৩ রান করেন। অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক ২১ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত ২ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড করে ৩০৪ রান।
জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ১৫৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। ইংল্যান্ড ম্যাচ জেতে ১৪৬ রানে। সিরিজের ফলাফল এখন ১–১। তবে সমস্ত চর্চা ইংল্যান্ডের বিধ্বংসী ব্যাটিং নিয়েই। সিরিজের শেষ ম্যাচ রবিবার ট্রেন্ট ব্রিজে।
এদিকে, এশিয়া কাপে রবিবার ভারত–পাক মহারণ। তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয়বার কাজ করছেন স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং কোচ আদ্রিয়ান লে রু। তিনি দায়িত্ব নিয়েই ক্রিকেটারদের ফিটনেস বাড়ানোর দিকে জোর দিয়েছেন। আমদানি করেছেন ব্রঙ্কো টেস্টের। এই টেস্টের ব্যাপারে লে রু’র বক্তব্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) তাদের অফিসিয়াল পেজে পোস্ট করেছে।
এই ব্রঙ্কো টেস্ট মূলত রাগবি প্লেয়ারদের জন্যই। তাঁদের অ্যারোবিক ও কার্ডিও ভাসকুলার ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য। এই টেস্টে চারটি মার্ক রয়েছে। জিরো মিটার, ২০ মিটার, ৪০ মিটার ও ৬০ মিটার। যেখানে এক জন প্লেয়ারকে জিরো থেকে ৬০ মিটার অবধি দৌড়ে আবার জিরো মিটারে ফিরতে হয়। তারপর আবার ৪০ মিটারে গিয়ে জিরো মিটারে ফিরতে হয়। এইভাবে ২০ মিটারে গিয়ে ফের জিরো মিটারে ফিরতে হয়। এইভাবে ২৪০ মিটার সম্পূর্ণ করতে হয়। এইভাবে পাঁচটা সেটে ১২০০ মিটার দৌড়তে হয় কোনও বিরাম ছাড়াই। যথেষ্ট কঠিন পরীক্ষা। ক্রিকেটের বাইবেল উইজডেনের দাবি, ভারতীয় ক্রিকেটারদের এই প্রক্রিয়াটা নাকি পুরো ৬ মিনিটে সম্পূর্ণ করতে বলা হয়েছে।
