আজকাল ওয়েবডেস্ক: ব্রাজিলের উঠতি ফুটবল তারকা তিনি। নাম এস্তেভাও উইলিয়ান। ছোটবেলা থেকেই তিনি লিও মেসির বড় ভক্ত। তাঁকে ইতিমধ্যেই ‘মেসিনহো’ নামে ডাকা হয়। ক্লাব বিশ্বকাপ দেখল মেসি বনাম মেসিনহো-র লড়াই। 

ক্লাব বিশ্বকাপে মেসির ইন্টার মায়ামি ও ব্রাজিলের ক্লাব পালমেইরাসের খেলা ২-২ গোলে শেষ হয়। আর তার ফলে দুটো ক্লাবই নক আউট পর্বে পৌঁছেছে। নক আউটে মেসিদের প্রতিপক্ষ পিএসজি। অন্যদিকে পালমেইরাসের প্রতিপক্ষ বোতাফোগো।

মেসির বিরুদ্ধে নামতে গিয়ে উইলিয়ান নিজের মধ্যে ছিলেন না। তিনি হয়ে পড়েন আবেগী। খেলার শেষ বাঁশির পরে সাংবাদিকদের উইলিয়ান বলেন, ''ম্যাচ শুরুর সময়ে আমার পা কাঁপছিল। মেসিকে সামনে দেখেই আমি কেমন যেন হয়ে যাই। মেসিই আমার প্রেরণা। মেসির সঙ্গে একই মাঠে খেলাটা আমার কাছে সম্মানের। এই অভিজ্ঞতা কখনওই ভোলার নয়।''

পোর্তো ও আল আহলির বিরুদ্ধে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করায় ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন উইলিয়ান। ইন্টার মায়ামির বিরুদ্ধে তিনি ম্যাচের সেরা হননি। লুইস সুয়ারেজ ম্যান অফ দ্য ম্যান হন। 

উইলিয়ান যোগ দেবেন চেলসিতে। ক্লাব বিশ্বকাপে তিনি খেলছেন পালমেইরাসের হয়ে। এর পরে নতুন ক্লাব। ম্যাচের প্রথমার্ধে মেসি ও মেসিনহো জার্সি বদল করেন। ম্যাচের শেষে লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে তিনি জার্সি অদলবদল করেন। 

খেলা শেষের পরে দেখা যায় মেসি চটে রয়েছেন। জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ায় মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। 

জার্সি খুলে মেসিকে মাঠ ছাড়তে দেখা যায়। এদিনই ৩৮ বছরে পা দিয়েছেন লিও মেসি। জন্মদিনেই আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির ক্লাব নক আউটে পৌঁছে গেল। 

নক আউটে মেসির মায়ামির বিরুদ্ধে পিএসজি। ইন্টার মায়ামির সতীর্থরা চাইছেন প্যারিস সাঁ জাঁ-র বিরুদ্ধে এই ক্ষুব্ধ মেসিকেই যেন পাওয়া যায়। 

বার্সায় মেসির প্রাক্তন সতীর্থ জর্ডি আলবা এখন ইন্টার মায়ামির খেলোয়াড়। তিনি বলছেন, ''দিনের শেষে ম্যাচ জিততে চায় মেসি। সেটা যে কোনও গ্রেট প্লেয়ারই জিততে চাইবে। বার্সার প্রতি ওর অনুভূতি আমার জানা। আমরা বার্সায় একসঙ্গে খেলতাম। কিন্তু পিএসজি-র প্রতি মেসির অনুভূতি ভাল নয়। পিএসজি-তে ২ বছর ছিল মেসি। ও জানে কী হয়েছিল। যেটা মনে হচ্ছে দারুণ এক লড়াই হবে। আশা রাখি আমরাই দিনের শেষে ম্যাচ জিতব। যদিও জানি এই সব দলের সঙ্গে খেলা খুবই কঠিন।''