আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন মেসি। কোটি টাকার প্রশ্ন। ২০২২ বিশ্বকাপ মেসির নেতৃত্বে জিতেছিল আর্জেন্টিনা। 


এটা ঘটনা, আগামী বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির খেলা এখনও নিশ্চিত নয়। বিষয়টা নির্ভর করবে অনেকটাই তাঁর সিদ্ধান্তের উপর। আর্জেন্টিনার জাতীয় দলে তাঁর দীর্ঘ দিনের প্রাক্তন সতীর্থ অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া চান, মেসি খেলুন।


সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছেন ডি মারিয়া। তবে মেসি এখনই অবসর নিন, চান না তিনি। প্রিয় বন্ধুকে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপেও দেখতে চান ডি মারিয়া। গত কয়েক মাস ধরে ফিটনেস নিয়ে সমস্যায় রয়েছেন মেসি। তবু ডি মারিয়ার মতে, মাঠে এলএম টেনের উপস্থিতিই অনেক কিছু বদলে দিতে পারে।
এক সাক্ষাৎকারে ডি মারিয়া বলেছেন, ‘মেসির অবশ্যই খেলা উচিত। বিশ্বকাপের সময় ও কী অবস্থায় থাকবে বা কেমন ফর্মে থাকবে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। ওর খেলা উচিত। মেসি এমন এক জন খেলোয়াড়, যে থাকা মানেই জাতীয় দলের শক্তি বৃদ্ধি পাবে। ও ঠিক খেলে দেবে। বাকি ফুটবলারদেরও তরতাজা রাখতে পারবে। দিয়েগো মারাদোনা খেললে যেমন হত, ব্যাপারটা ঠিক তেমনই।’ ডি মারিয়া আরও বলেছেন, ‘ওরা আলাদা। কারও সঙ্গে তুলনা হয় না। দেখলে মনে হয়, ও ভিন গ্রহের প্রাণী। আমরা উপভোগ করতে চাই। আশা করব, বিশ্বকাপের সময় মেসি সেরা ফর্মে থাকবে। লিও ভিনগ্রহের প্রাণী। অসাধারণ ফুটবলার। ওর সব কিছুই আলাদা। আমরা ওর খেলা দেখার সুযোগ হারাতে চাই না। আমি এখন ইন্টার মায়ামির খেলা দেখি। কারণ মেসি খেলে। আগে কখনও মেজর লিগ সকার দেখতাম না। অথচ এখন আমার কাছে সিজন টিকিট রয়েছে।’

 

আরও পড়ুন:‌ কাদের জন্য টিম ইন্ডিয়ায় রাজত্ব করছেন?‌ খোলসা করলেন বরুণ

 


এটা ঘটনা, ২০০৮ অলিম্পিক্সে আর্জেন্টিনার সোনাজয়ী দলে ছিলেন মেসি এবং ডি মারিয়া। গত বার বিশ্বকাপজয়ী দলেও ছিলেন দু’জনে। আর্জেন্টিনাকে একাধিক বার কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন করেছে মেসি–ডি মারিয়া জুটি। যুব পর্যায় থেকে একসঙ্গে জাতীয় দলে খেলছেন তাঁরা। জাতীয় দলে প্রথম থেকেই দু’জনে ঘনিষ্ঠ বন্ধু। পরস্পরের সাফল্যে অবদানও কম নয়। ডি মারিয়া চান আগামী বিশ্বকাপেও মেসি খেলুন। বিশ্বজয়ীদের নেতৃত্ব দিন ৩৮ বছরের স্ট্রাইকারই।

এদিকে, ‘রেভস্পোর্টজ’–এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে গম্ভীরের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বরুণ। তাঁর কথায়, ‘‌মেন্টর হিসাবে গম্ভীরের অবদানের কথা যদি উল্লেখ করেন, আমি বলব উনি সাজঘরে যোদ্ধার মতো মানসিকতা নিয়ে আসেন। এই ধরনের মানসিকতা থাকা খুবই দরকার। কেকেআর এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাফল্য পেতে এই মানসিকতাই সাহায্য করেছে।’‌ বরুণের সংযোজন, ‘‌ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেও আমরা সেটা দেখতে পেয়েছি। উনি একটা আলাদা শক্তি নিয়ে আসেন সাজঘরে। ওঁর পাশে থাকলে নিজেকে কখনওই দুর্বল লাগে না। হারুণ বা জিতুন, আপনি সব সময় নিজের সর্বস্ব দিতে তৈরি থাকেন।’‌ 

২০২১–এর টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর কোনও দিন যে জাতীয় দলে ফিরতে পারবেন সেটাই ভাবেননি বরুণ। প্রত্যাবর্তনের পিছনে দু’জনের নাম উল্লেখ করেছেন তিনি। কোচ গম্ভীর ছাড়া আর একজন সূর্যকুমার যাদব।