আজকাল ওয়েবডেস্ক: আধুনিক সমাজে নারীদের জীবনের লক্ষ্য ও মূল্যবোধে ঘটছে মৌলিক পরিবর্তন। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে শহুরে শিক্ষিত নারীদের মধ্যে বিয়ে ও মাতৃত্বের প্রতি অনাগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে। ২০২১ সালের সিভিল রেজিস্ট্রেশন রিপোর্টে দেখা গেছে, ২৫-৩৫ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে বিয়ে না করার হার বিগত এক দশকে ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। ২০২4 সালের একটি Pew Research সমীক্ষায় জানানো হয়, প্রায় ৪৭% ভারতীয় যুবতী মনে করেন, বিয়ে জীবনের অপরিহার্য অংশ নয়।
অনেক নারী আজ নিজেকে ‘টাইম মেশিন’ ভাবছেন—নিজের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ অধিকার তাদের হাতেই। পেশা, স্বনির্ভরতা ও আত্মপরিচয়ের সন্ধানে তারা traditional বিবাহ প্রথার বাইরে গিয়ে জীবনকে সাজাচ্ছেন নিজের মতো করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর প্রভাব পড়ছে জনসংখ্যার গঠনে। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে (NFHS-5) অনুসারে, ভারতের মোট ফার্টিলিটি রেট ২.০-র নিচে নেমে এসেছে, যা দীর্ঘমেয়াদে জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি হ্রাসের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
মনোবিদরা বলছেন, নারীরা আজ স্বাধীনভাবে ভাবতে শিখেছেন। ভালোবাসা, সঙ্গ, যৌনতা—সব কিছুর সংজ্ঞা বদলাচ্ছে। এটাই নারীর আত্মমর্যাদার নতুন যুগ। তবে সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই প্রবণতা রাষ্ট্রের পলিসিতে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনবে। বিয়ে বা সন্তানধারণ নয়, বরং বিকল্প জীবনবোধকে গুরুত্ব দেওয়াই হবে আগামীর চ্যালেঞ্জ। নারীদের এই ‘টাইম মেশিন’ যাত্রা হয়তো সমাজকে নতুন কল্পনাশক্তি উপহার দিচ্ছে—যেখানে বিয়ে নয়, ব্যক্তি ইচ্ছাই ভবিষ্যতের চালিকা শক্তি।
