আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক সময় সকলের জলখাবার কিংবা বিকেলের নাস্তায় মুড়ি কিংবা চিরে ছিল বাঙালির অন্যতম প্রিয় খাবার। যুগ বদলের সঙ্গে-সঙ্গে সেই ধারায় বদল এসেছে। কেউ কেউ আবার ওজন কমাতে বদ্ধপরিকর। তাই সারা দিন ধরে অল্প পরিমাণে বারে বারে পুষ্টিকর খাবার খেতে চান তাঁরা। টুকটাক জিভের স্বাদ মেটাতে বাদাম, বীজ, ভুট্টার খইও খান অনেকে। আজকাল এই খাদ্যতালিকায় যুক্ত হয়েছে নতুন একটি নাম, মাখানা। পদ্মফুলের বীজ থেকে যে খই তৈরি হয়, তা-ই ‘মাখানা’ নামে পরিচিত। কিন্তু সত্যিই খাবার হিসাবে কতটা পুষ্টিকর এই মাখানা?
১) পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামে সমৃদ্ধ মাখানা, ভুট্টার খইয়ের চেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকর। প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট রয়েছে মাখানায়। 'কিম্পফেরল' বলে এক ধরনের উপাদান থাকে মাখানাতে। এই উপাদানটি 'অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি' বা প্রদাহনাশক।
২) মাখানার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশ কম। তাই এই খাবার খেলে রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। সারা দিন কাজ করার মতো শক্তি জোগাতেও সাহায্য করে এই খাবার। তাই যাঁদের রক্তে শর্করা বেশি তাঁরাও নির্ভয়ে খেতে পারেন। এতে ট্রান্স ফ্যাট নেই, তাই কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ারও ভয় থাকে না।
৩) পদ্মবীজের খইতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকায় মাখানা রক্তাল্পতার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য স্বাস্থ্যকর এই খাবার।
৪) প্রত্যেক দিন অল্প পরিমাণে মাখানা খেলে অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর হয়। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা।
৫) বিপাকহার ভাল রাখতেও সহায়তা করে মাখানা। মাখানায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার যা গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো  সমস্যায় দারুণ কাজ দেয়।
 
 তবে মনে রাখতে হবে, প্রত্যেকের শরীর আলাদা। সব খাবার সবার সহ্য হয় না। তাই একটানা কোনও কিছু খাওয়ার আগে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
