ভারতের দেখাদেখি সিদ্ধান্ত! এদেশের তিন জায়গায় সাময়িকভাবে ভিসা কেন্দ্র বন্ধ করল বাংলাদেশ

ভারতের ৩ জায়গায় বন্ধ বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্র। গ্রাফিক: আজকাল ডট ইন।

আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৃহস্পতিবার থেকে নতুন দফায় উত্তাল বাংলাদেশ। সে দেশে অবস্থিত একাধিক ভারতীয় উপদূতাবাসের সামনে বিক্ষোভের ঘটনায়, নিরাপত্তার প্রশ্নে, পরিস্থিতি বিচারে ভারত বাংলাদেশে অবস্থিত একাধিক উপদূতাবাস, ভিসা কেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। ঠিক একই সিদ্ধান্তের যেন পুনরাবৃত্তি। বাংলাদেশও ভারতে অবস্থিত তিন জায়গার ভিসাকেন্দ্র বন্ধের নোটিস জারি করতল রাতারাতি। তালিকায় দিল্লি, শিলিগুড়ি এবং আগরতলা।

প্রথমে দিল্লির ভিসা কেন্দ্র বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা। তারপরেই শিলিগুড়ি এবং আগরতলা। সোমবার রাতে নোটিস জারি করে বাংলাদেশ উপদূতাবাস, ত্রিপুরা জানিয়ে দেয়, আজ অর্থাৎ ২৩ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ উপদূতাবাস ত্রিপুরা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সকলপ্রকার ভিসা প্রদান এবং কনস্যুলার কাজ বন্ধ থাকবে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর, দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের  সামনে কয়েকজন জড়ো হন। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের দাবি, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ঘটনাটিকে অতিরঞ্জিত করে প্রকাশ করে। অন্যদিকে ইউনূস সরকারও ঘটনা প্রসঙ্গে বার্তা দেয়। দু'দেশের  কুটনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেই এবার একে একে দু' দেশে বন্ধ হল, দু' দেশের একাধিক ভিসা কেন্দ্র। 

 

বাংলাদেশ  প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার, ওসমান হাদির মৃত্যুসংবাদ বাংলাদেশে পৌঁছতেই  বিক্ষুব্ধরা দুই সংবাদমাধ্যমের অফিসে হামলা চালায়। লুঠপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। তখন সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ের ভিতরে ছিলেন কর্মীরা। সেই সময়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন অনেকেই। আটকে থাকা সাংবাদিকরা প্রাণভয়ে আশ্রয় নেন সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ের ছাদে। পরে তাঁদের ক্রেনে করে উদ্ধার করা হয়। প্রাণে বেঁচে সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন অনেকেই।

 

শুক্রবার বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, 'প্রথম আলো' এবং 'দ্য ডেলি স্টার'-এর সম্পাদকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। জানা গিয়েছিল, 'প্রথম আলো'র সম্পাদক মতিউর রহমান ও 'দ্য ডেলি স্টার'-এর সম্পাদক মাহফুজ আনামের সঙ্গে কথা বলে ইউনূস জানিয়েছেন- 'আপনাদের প্রতিষ্ঠান ও সংবাদকর্মীদের ওপর এই অনাকাঙ্ক্ষিত ও ন্যাক্কারজনক হামলা আমাকে গভীরভাবে ব্যথিত করেছে। আপনাদের এই দুঃসময়ে সরকার আপনাদের পাশে আছে।'

কিন্তু সোমবারে যেন একেবারে অন্য মোড় ঘটনার। সোমবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক, অন্তবর্তী সরকারের প্রাক্তন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম যা বলেছেন তা নিয়ে জোর চর্চা। বিবিসি বাংলা এবং দ্য ডেলি স্টার-এর প্রতিবেদন সূত্রে খবর, নাহিদ জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় যুক্ত সরকারের ভিতরের অংশ।