আজকাল ওয়েবডেস্কঃ বর্তমানে দেশের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে এক জন কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন। ইদানীং অনিয়মিত জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস, শরীরচর্চার অভাব সহ বিভিন্ন কারণে অল্প বয়সেও শরীরে বাসা বাঁধছে এই ক্রনিক রোগ। শরীরে এলডিএল কোলেস্টরল বেড়ে গেলে রক্তনালীতে চর্বি জমতে শুরু করে। রক্তনালী সংকুচিত হয়ে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে ঝুঁকি বাড়ে হৃদরোগের। আর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুধু ওষুধ নয়, ডায়েট এবং রোজের কয়েকটি অভ্যাসে বদল আনা জরুরি।  

১. অতিরিক্ত কফি পানঃ ক্যাফেইন সমৃদ্ধ কফি খুব তাড়াতাড়ি রক্তচাপ বাড়াতে পারে। একইসঙ্গে শরীরে কোলেস্টেরল মাত্রা বাড়াতেও কার্যকরী কফি। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে,  দিনে ৪–৫ কাপ কফি আচমকা কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে পারে । তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পরিমিত কফি খাওয়া জরুরি। 

২. মানসিক চাপঃ আধুনিক জীবনের অঙ্গ মানসিক চাপ। স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল শরীরে এলডিএল অর্থাৎ খারাপ কোলেস্টেরল বাড়াতে এবং এইচডিএল ভাল কোলেস্টেরল কমিয়ে দিতে পারে। ২০১৭ সালের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হয়েছে, মানসিক চাপ এলডিএল বাড়িয়ে দেয়। তাই দৈনন্দিন জীবনে চাপমুক্ত থাকতে নিয়মিত শরীরচর্চা ও শ্বাসের এক্সারসাইজ করুন। 

৩. ধূমপানঃ সিগারেটের মতো তামাকজাত দ্রব্যের প্রধান উপাদান নিকোটিন। এটি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিকোটিন রক্তে খুব তাড়াতাড়ি এইচডিএল কমিয়ে এবং এলডিএল বাড়িয়ে দেয়। সার্বিকভাবে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রার ভারসাম্য নষ্ট হয়। 

৪. গর্ভাবস্থাঃ গর্ভাবস্থায় রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমপক্ষে ৩০-৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক। কারণ ভ্রূণের সুস্থ বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য কোলেস্টেরল অপরিহার্য। গবেষণায় দেখা গেছে যে গর্ভাবস্থায় উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি, প্লাসেন্টাল ল্যাকটোজেন এবং ইনসুলিন প্রতিরোধের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভাবস্থায় কোলেস্টেরলের মাত্রা খুব বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে যা গর্ভকালীন হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া বা মাতৃত্বকালীন হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া নামে পরিচিত। সেক্ষেত্রে খাদ্যাভাসে কিছু পরিবর্তন এবং লিপিড-হ্রাসকারী ওষুধের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। 

৫. দ্রুত ওজন কমানোঃ শরীরে উচ্চ কোলেস্টেরলের একটি প্রধান সম্ভাব্য কারণ হতে পারে দ্রুত এবং অতিরিক্ত ওজন কমানো। গবেষণা বলছে, ওজন কমানোর চেষ্টা করার সময় যদি আপনি খুব কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খান তাহলে তা এলডিএল কোলেস্টেরলকে সাময়িকভাবে বাড়িয়ে দিতে পারে। বিপাকের পরিবর্তনের কারণে এটি ঘটে যা দীর্ঘমেয়াদে বিপজ্জনক হতে পারে।