আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রসাদের লোভ দেখিয়ে যৌন নির্যাতন। পুরোহিতের যৌন লালসার শিকার সাত বছরের এক নাবালক। প্রসাদের লোভ দেখিয়ে মন্দিরের পাশেই যৌন নির্যাতন করা হয়েছে বলে পরিবার অভিযোগ জানিয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, সাত বছর বয়সি এক নাবালককে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মন্দিরের এক পুরোহিতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতের নাম, রমেশ চন্দ্র পুরী। ৬৫ বছর বয়সি ওই পুরোহিত বিহারের সিয়ান জেলার তালি গ্রামের বাসিন্দা। কাজের সূত্রে উত্তরপ্রদেশে থাকেন।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে দেওরিয়া জেলাতেই স্থানীয় এক মন্দিরে পুরোহিত হিসেবে কাজ করেন। গত সোমবার পুরোহিতের বাড়ির বাইরে ওই নাবালক খেলাধুলা করছিল। প্রসাদের লোভ দেখিয়ে মন্দিরের অদূরে এক নির্জন এলাকায় তাকে নিয়ে যান বৃদ্ধ পুরোহিত। পরিবারের অভিযোগ, সেখানেই নাবালককে যৌন নির্যাতন করেন।
ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই নাবালকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তখনই ঘটনাটি জানতে পারে পরিবার। মঙ্গলবার থানায় অভিযোগ জানায় তারা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত পুরোহিতের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার এবং পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন ওই পুরোহিত।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। প্রসাদের লোভ দেখিয়ে পরপর দুই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের বিরুদ্ধে। মন্দিরের গর্ভগৃহে দুই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ পুরোহিতকে গ্রেপ্তার করেছিল।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ছতরপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণে অভিযুক্ত পুরোহিত মহাকাল আশ্রমের একটি শিব মন্দিরে পুজো করতেন। জানা গেছে, গত চার বছর ধরে এই মন্দিরের দেখাশোনা করতেন তিনি। আশ্রমটি এখনও নির্মীয়মাণ। সেই মন্দিরের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছিল।
তদন্তে জানা গেছে, দুই নাবালিকা সম্পর্কে তুতো বোন। একজনের বয়স ছয়, অন্যজনের পাঁচ। পরিবারের তরফে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে দুই বোন উঠোনে খেলাধুলা করছিল। সেই সময়ে অভিযুক্ত পুরোহিত প্রসাদ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মন্দিরে ডেকে নিয়ে যান। পুজোর প্রসাদ খাওয়ার লোভে দুই বোন একসঙ্গে পুরোহিতের সঙ্গেই চলে যায়।
এরপর মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দুই বোনকে একসঙ্গে যৌন হেনস্থা করেন। ধর্ষণ করেন একে একে। রাতেই কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে পুরোহিতের কীর্তি ফাঁস করে দুই বোন। পরেরদিন সকালে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পকসো ধারায় পুরোহিতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছিল। গ্রামবাসীরা জানিয়েছিলেন, এ নিয়ে তৃতীয়বার যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল এই পুরোহিতের বিরুদ্ধে। আগের দু'বার থানায় অভিযোগ জানানো হয়নি।
