আজকাল ওয়েবডেস্কঃ বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি আর ছাপসা কাচের এপারে পছন্দের স্বাদের বিস্কুটের সঙ্গে গরম চায়ে চুমুক। কিন্তু বিস্কুটে কামড় বসাতেই মেজাজ গেল বিগড়ে! বাহারি বিস্কুট যে একেবারে মিইয়ে গিয়েছে। শুকনো খাবার ঠিক করে না রাখলে মিইয়ে যাওয়া, বর্ষার অন্যতম এই সমস্যায় ভুক্তভোগী কম-বেশি সকলেই। আসলে এই মরশুমে বৃষ্টির দোসর যে স্যাঁতস্যাতে আবহাওয়াও। একদিকে অতিরিক্ত আর্দ্রতার জন্য বিস্কুট থেকে মশলা, সবই মিইয়ে যায়। অন্যদিকে, একটু অসতর্ক হলেই হানা দেয় ফাঙ্গাস। তাই বর্ষাকালে রান্নাঘরের জিনিসপত্র সামলাতে প্রয়োজন বিশেষ টোটকা।
• এয়ার টাইট কৌটো ব্যবহারঃ বর্ষায় শুকনো খাবার ভালো রাখতে এয়ার টাইট কৌটো ব্যবহার করুন। কারণ এই ধরনের কৌটোয় আর্দ্রতা প্রবেশ করতে পারবে না। ফলে খাবার নরম হয়ে যাওয়ার কিংবা ফাঙ্গাস পড়ার সম্ভাবনা থাকে না।
আরও পড়ুনঃ হুড়মুড়িয়ে কমবে ওজন, দূর দূর করে তাড়াবে প্রেশার-সুগার! এই চায়ের ম্যাজিকেই থাকবেন নীরোগ
• গোটা মশলা কিনুনঃ গুঁড়ো মশলার পরিবর্তে বর্ষায় গোটা মশলা ব্যবহার করলেই ভালো। সেক্ষেত্রে রান্নার আগে গুঁড়ো করে নিতে পারেন। এতে মশলা ভাল থাকবে। কারণ বর্ষার সময় গুঁড়ো মশলার তুলনায় গোটা মশলা কম নষ্ট হয়।
• ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন নেইঃ অনেকেই ফ্রিজে সবকিছু ভালো থাকে বলে মনে করেন। তা কিন্তু আদপে নয়। মনে রাখবেন, ফ্রিজেও কিন্তু আর্দ্রতা থাকে। যা মশলাপাতি কিংবা বিস্কুট জাতীয় খাবারের মধ্যে ঢুকে নষ্ট করে দিতে পারে। বিশেষ করে প্লাস্টিকের প্যাকেট সমেত কখনই কোনও কিছু ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।
• আগুনের পাশে কৌটো নয়ঃ রান্নাঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কৌটো বেশিরভাগ বাড়িতেই নজরে আসে। অনেকেই নিজেদের সুবিধার জন্য সেগুলি গ্যাসের ওভেনের কাছাকাছি রাখেন। কিন্তু এই গ্যাস বা স্টোভ থেকে যে উত্তাপ বের তা কিন্তু মশলার স্বাদ নষ্ট করে দিতে পারে। তাই হাতের কাছে যদি রাখতেই হয় তাহলে কোনও ডার্ক কন্টেনারে মশলা রাখুন যাতে আলো বা অন্য কিছু সহজে প্রবেশ করতে না পারে। সুগন্ধ যুক্ত খাবার যেমন চা বা কফি মশলার কৌটোর খুব কাছে না রাখাই ভালো।

• প্যাকেটে নয়, কৌটোয় রাখুনঃ বিস্কুট, চিপস, নিমকির মতো শুকনো খাবার প্যাকেট থেকে এক বার খুললে তা কৌটোয় ঢেলে রাখাই ভাল। নয়তো নরম হয়ে যাবে। কৌটোতে রাখলে নরম হওয়ার কোনও ঝুঁকি থাকে না।
• নুন-চিনির যত্নঃ বর্ষায় নুনের কৌটোয় রাখতে পারেন কিছুটা শুকনো চাল। চাল আর্দ্রতা শোষণ করে নেয়। একটু লম্বা ধরনের চাল হলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়। এয়ার টাইট কাঁচের বয়াম ব্যবহার করতে পারেন। নুন-চিনি দিয়ে জার ভর্তি করার আগে ব্লটিং পেপার ব্যবহার করুন। এতে অতিরিক্ত আর্দ্রতাও শুষে যাবে।
• লবঙ্গের ব্যবহারঃ খাবারে সুগন্ধ যোগ করার ছাড়াও লবঙ্গের আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। প্রাকৃতিক অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং পোকামাকড় তাড়ানোর বৈশিষ্ট্যের কারণে লবঙ্গের জুড়ি মেলা ভার। বাতাসে আর্দ্রতা বৃদ্ধি এবং পিঁপড়ার উপদ্রব রোধ করতে চিনির পাত্রে ৩-৪টি লবঙ্গ রাখুন। এতে চিনি বেশ কয়েক সপ্তাহ টাটকা থাকবে।
