আজকাল ওয়েবডেস্কঃ এক সময় মনে করা হত ডায়াবেটিস বয়স্কদের রোগ। কিন্তু বর্তমানে ৩০ পেরতে না পেরতেই ভোগাচ্ছে ব্লাড সুগার। নেপথ্যে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, শরীরচর্চার অভাব, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা সহ একাধিক কারণ। তবে কারণ যাই হোক না কেন, ডায়াবেটিস একবার থাবা বসালেই শরীরে আরও অনেক জটিল সমস্যা শুরু হয়। তাই আগাম সতর্কতা জরুরি। আগে থেকে লক্ষণ খেয়াল রাখলে বশে রাখা যায় ব্লাড সুগার।
সাধারণ বেশ কিছু লক্ষণের সঙ্গে প্রস্রাবের ধরনও ডায়াবেটিস আছে কিনা বলে দিতে পারে। আর সেই সব লক্ষণ ঠিক সময়ে চিহ্নিত করলে প্রাথমিক অবস্থাতেই ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তাহলে প্রস্রাবের কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন, জেনে নিন-
* ঘন ঘন প্রস্রাব: ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া ডায়াবেটিসের অন্যতম লক্ষণ। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে। আসলে শরীরে ব্লাড সুগারের মাত্রা বাড়লে তা কিডনির উপর বেশি প্রভাব ফেলে। ফলে অতিরিক্ত প্রস্রাব হয়। বিশেষ করে রাতে এই সমস্যা বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে৷
* প্রস্রাবে ফেনা: যখন রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়, তখন কিডনি সঠিকভাবে ফিল্টার করতে পারে না। ফলে প্রস্রাবে শর্করা ও প্রোটিন মিশে ফেনা তৈরি করে। প্রস্রাবে ফেনা শরীরে ব্লাড সুগারের মাত্রা বাড়ার লক্ষণ হতে পারে।
* প্রস্রাবের রঙের পার্থক্য: যখন শরীরে শর্করার মাত্রা বেশি থাকে, তখন প্রস্রাবের রঙের পরিবর্তন দেখা যায়। বেশি সুগারের কারণে প্রস্রাবের রং গাঢ় হলুদ বা হালকা বাদামি রঙের হতে পারে।
* দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব: শরীরে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে প্রস্রাবে দুর্গন্ধও হতে পারে। তাই প্রস্রাবের দুর্গন্ধ থাকে, তাহলে তা উপেক্ষা করা উচিত নয়। দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব ডায়াবেটিস বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই)-এর লক্ষণ হতে পারে।
