আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের অশান্ত বাংলাদেশ। আততায়ীর গুলিতে ছাত্রনেতা শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর থেকে নতুন করে আন্দোলন শুরু হয়েছে বাংলাদেশ জুড়ে। ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে ৷ পড়শি দেশের জায়গায় জায়গায় ভারত বিরোধীতার নানা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। শুক্রবার ভারত-বাংলাদেশ স্থলবন্দর বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দরে দুপুরের কাছাকাছি জড়ো হয় পড়শি দেশের বিক্ষোভকারীরা‌। ভারত-বিরোধী বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা। ঘন্টাখানেক বিক্ষোভ করে। যদিও বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) বেনাপোল বন্দরের কিছু আগেই আন্দোলনকারীদের আটকে দেয় বলে জানা গিয়েছে। আর এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো৷ সামনের দিকে স্থির চোখ রেখে পেট্রাপোল বন্দরের গেট অবরুদ্ধ করে প্রচুর বিএসএফ জওয়ান দাঁড়িয়ে পড়েন। 

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকেই পেট্রাপোল বন্দর জুড়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গতিবিধি অন্যদিনের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাণিজ্য স্বাভাবিক থাকলেও শুক্রবার সকাল থেকেই অন্যান্য দিনের তুলনায় নিরাপত্তা অনেক বেশি চোখে পড়ছে৷ এদিন পেট্রাপোল বন্দর হয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছেন একাধিক বাংলাদেশী নাগরিক৷ কেউ এসেছেন চিকিৎসার প্রয়োজনে কেউ বা আত্মীয় বাড়িতে যাওয়ার জন্য। তাঁরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে বিক্ষোভ আন্দোলন অনেকটাই হয়েছে। সেই তুলনায় শুক্রবার অনেকটাই কম। যদিও ভারতের বিরুদ্ধে তাঁরা কেউ কোনও মন্তব্য করেননি৷ 

বাংলাদেশের ঢাকা থেকে আসা মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা এক ভারতীয় যাত্রীর কথায়, ওই দেশে যাই হয় ওরা ভারতকে দোষারোপ করে। ওদের এক নেতার মৃত্যুর পর থেকেই সেখানে ভারতবিদ্বেষী ভাষণ চলছে। এদিন পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আসা একাধিক যাত্রীর চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ দেখা যায়।

পেট্রাপোলের ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দীপক ঘোষ বলেন, “শুনেছি ওরা ওই দেশের বেনাপোলে বিক্ষোভ করেছে৷ এই কারণে আমাদের দেশে বিএসএফের একটু তৎপরতাও বেড়েছে৷ পেট্রাপোল দিয়ে ব্যবসার অবস্থা খারাপ গত ১৭ থেকে ১৮ মাস ধরে৷ তার উপর ফের এমন পরিস্থিতি হলে ব্যবসা বন্ধ হয়ে না খাওয়ার পরিস্থিতি হবে। কারণ আমরা এই ব্যবসার উপরে নির্ভর করি।”