আজকাল ওয়েবডেস্ক: বয়সের সঙ্গে সঙ্গে দেহের শক্তি কমতে থাকে, দেখা যায় নানা শারীরিক সমস্যা। শরীরের পুষ্টির চাহিদারও পরিবর্তন হয়। ৪০ বছরের পর থেকে ত্বক-চুলের স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব পড়ে। এই ত্বক ও চুল ভাল রাখতে সাহায্য করে কোলাজেন নামে একপ্রকার প্রোটিন। ত্বক টানটান করা, মৃত কোষ প্রতিস্থাপন, নতুন কোষ গঠনে কোলাজেনের বিশেষ ভূমিকা থাকে। বয়স হলে শরীরে কোলাজেনের মাত্রা কমতে থাকে। যার জন্য অনেকে সাপ্লিমেন্টের উপর ভরসা রাখেন। তবে রোজকার জীবনের কয়েকটি খাবারও কোলাজেনের ঘাটতি মেটাতে পারে।
১. আমলকি: আমলকিতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। এই উপাদানটি দেহে ফ্রি র্যাডিক্যালের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না। প্রতিদিন সকালে আমলকির রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খান। এতে ত্বকের কালো দাগ দূর হওয়ার পাশাপাশি বাড়বে উজ্জ্বলতা।
২. হলুদ: স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর হলুদের জুড়ি মেলা ভার। হলুদে রয়েছে কারকুমিন নামে এক ধরনের উপাদান। হলুদের উপকারিতা অনেকটাই নির্ভর করে এই কারকুমিনের ওপর। কিন্তু কারকুমিন নিজে থেকে শরীরে ভালভাবে মিশতে পারে না। তবে গোলমরিচের সঙ্গে খেলে কারকুমিন পুরোপুরি শরীরে মিশে যায়। একাধিক অসুখ-বিসুখের মোকাবিলা করতে রান্নার এই দুই উপকরণ রীতিমত ম্যাজিকের মতো কাজ করতে পারে।
৩. ঘি: ঘি-এ থাকে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে। সেই সঙ্গে থাকে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায়। তাই ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। ঘি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। সকালে ঘি দিয়ে দিন শুরু করলে বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলো দূর হয়।
৪. তিল- প্রতিদিন তিলের বীজ খাওয়া ত্বককে সুস্থ, উজ্জ্বল এবং ভেতর থেকে ময়েশ্চারাইজ রাখতে সাহায্য করে। তিলের বীজে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম পাওয়া যায়, যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। কোমর এবং জয়েন্টে ব্যথাতেও তিল খেলে উপকার পাবেন।
৫. অশ্বগন্ধা: অভিযোজনীয় বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত অশ্বগন্ধা। এটি মানসিক চাপ কমায়, শরীরে কর্টিসল হরমোনের মাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যকর উপায়ে খিদে বাড়ায় এবং পেশী গঠন করে। ওজন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অশ্বগন্ধা গরম দুধ ও মধু দিয়ে খেতে পারেন।
