আজকাল ওয়েবডেস্ক: যতই কোলেস্টেরলের চোখ রাঙানি থাক না কেন, মটনের প্রতি ভালবাসায় ছেদ ধরাবে কার সাধ্যি!পিকনিক হোক কিংবা রবিবারের অলস দুপুর, গরম ভাতের সঙ্গে ধোঁয়া ওঠা পাঁঠার মাংসের ঝোল-আলু থাকলে জমে যায় মেনু। কিন্তু মটন রান্না অনেকের কাছেই বেশ ঝক্কির। আসলে মটন খেতে তখনই সুস্বাদু হয় যখন মাংস ঠিকমতো সেদ্ধ হয়। তবেই না নরম তুলতুলে মটন মুখে দিলেই যাবে গলে। আর এখানেই হয় সমস্যা। আসলে শুধু রান্না নয়, কাঁচা মাংসের উপরেও নির্ভর করে স্বাদ। মটন রান্নার আগে কয়েকটি পদক্ষেপ মেনে চলতে হয়। জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়ে-
১. মাংস কাটানোর সময়ে ফাইবার যে দিকে রয়েছে সে দিকের মাংসই কাটান। যদিও প্রচলিত ধারণা, মশলার সঙ্গে মাংস যত বেশি ম্যারিনেট হবে তত বাড়বে স্বাদ। সেক্ষেত্রে ম্যারিনেশনে টক দই ও পেঁপেবাটা যোগ করতে পারেন।
২. মাংস নরম ও সুস্বাদু রান্না করতে হলে মটন অন্তত ২-৩ ঘণ্টা ম্যারিনেট করুন। সময় থাকলে ৬-৭ ঘণ্টাও রাখতে পারেন৷ সারা রাত ফ্রিজে রেখে দিতে পারলে তো কথাই নেই! যতই অ্যাসিডিক দিয়ে ম্যারিনেট করবেন, মটন তত নরম হবে। মাংসের ফাইবার পেশিগুলি ভেঙে মাংস নরম হবে। খেতেও হবে সুস্বাদু। মাংস ধোয়ার সময় শক্ত মনে হলে, পেঁপের পরিবর্তে লেবুর রস বা ভিনিগারও দিতে পারেন।
৩. ভাল করে সিদ্ধ করতে চাইলে কম আঁচে রান্না করুন। গ্যাস কমিয়ে ঘণ্টা তিনেক ঢাকা দিয়ে রান্না করলে মাংস নরম হতে বাধ্য৷ আসলে মাংস যত কষাবেন, তত নরম হয়। তাই তো তাড়াহুড়োয় মটন রান্না করলে ভাল ফল মেলে না।
৪. ম্যারিনেট করার সুযোগ না থাকলে মাংস নুন মাখিয়ে ঘন্টা দুয়েক রেখে দিতে পারেন৷ এতেও নরম হয় মাংস। রান্নার আগে অবশ্য অতিরিক্ত নুন দেবেন না। এতে মাংস থেকে সব জল বেরিয়ে যাবে। বরং মাংস ধুয়ে অল্প নুন মাখিয়ে রাখার পর রান্না শুরু করুন।
৫. মটন নরম করার জন্য রান্না হওয়ার পর কড়াইতে ২ চামচ চিনি দিতে পারেন।তবে এর জন্য আগে ঝালের পরিমাণ বেশি দিতে হবে।
