আজকাল ওয়েব ডেস্ক: সূর্যালোকের কোনও অভাব নেই আমাদের দেশে।বছরে প্রায় দশমাসই এখানে গরম, রোদের প্রখর তাপ। সূর্যরশ্মিই ভিটামিন ডি এর উৎস।কিন্তু এরপরও দেশের ৭০ শতাংশ বাসিন্দা ভিটামিন ডি-এর অভাবে ভোগেন।শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হলে পিছু নিতে পারে একাধিক সমস্যা। এমনকী দুর্বল হয়ে পড়তে পারে হাড়। সেই সঙ্গে পেশির ব্যথা-বেদনা, মন খারাপের মতো সমস্যাও নিতে পারে পিছু।তাই শরীরকে এই সমস্যা থেকে রেহাই দিতে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করা জরুরি। ভিটামিন ডি পাওয়া যায় এমন খাবার রাখুন নিজের ডায়েটে।
ভিটামিন ডি এর নাম উঠলে প্রথম সারিতেই দুধের নাম থাকে। এতে আছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস। হাড়কে শক্তিশালী করে অন্যান্য পুষ্টির প্রয়োজনও মেটায়।
মাশরুম ভিটামিন ডি এর অন্যতম সমৃদ্ধ উৎস।ইউভি রশ্মির সংস্পর্শে আসা মাত্র এটি ভিটামিন ডি২ তৈরি করতে পারে।তবে, প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো মাশরুমের তুলনায় বাণিজ্যিকভাবে তৈরি মাশরুমে ভিটামিন ডি-র পরিমাণ কম।বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত মাশরুম খেয়েই রসনাতৃপ্তি করার পরামর্শ দেন। তবে অধিকাংশ বাঙালির রান্নাঘরে আজও স্থান পায় না মাশরুম। এই কারণেই তারা একাধিক পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হন।
স্যালমন, ম্যাকরেলের মতো বড় সাইজের তৈলাক্ত মাছ খেলে উপকার মিলবে। তবে এই ধরনের মাছ না পেলে নিজেদের পছন্দসই মাছ নিয়মিত খান। তাতেও দেহে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি মিটবে।একটা ডিমের কুসুম দেহে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি মিটবে। তবে যাঁদের ডায়াবিটিস, হার্টের অসুখ, হাই কোলেস্টেরল, হাই প্রেশার রয়েছে, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ডিমের কুসুম খাবেন না।
দই অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি। এছাড়াও এই খাবারে মজুত রয়েছে প্রচুর ক্যালশিয়াম। তাই তো হাড়কে আরও শক্তিশালী করতে চাইলে পাতে দই রাখতেই হবে। বাড়িতে টকদই বানিয়ে খেলেই মিলবে উপকার।
তাছাড়া প্রতিদিন নিয়ম করে সূর্যের আলো গায়ে লাগাতে হবে। এর পাশাপাশি রোজ পাতে রাখতে হবে কয়েকটি উপকারী খাবার। তাহলেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
