আজকাল ওয়েব ডেস্ক: সেই সাত সকালে যখন অফিসে বেরোন তখন ছোট্ট রেহান ঘুম থেকেই ওঠে না। আবার রাতে ফিরে সংসারের যাবতীয় কাজ সামলিয়ে সন্তানের কাছে যেতে না যেতেই ঘরির কাটা ঘুমানোর তাড়া দেয়। অফিস, সংসারের চাপের মাঝে এভাবেই কালঘাম ছোটে তনয়ার। কিন্তু সবকিছুর মধ্যে সন্তানকে ঠিক মতো সময় দিতে পারছেন না বলে অপরাধবোধে ভোগে পেশায় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার ওই কর্মী। তবে শুধু তনয়াই নয়, আজকাল ঘরে-বাইরে সামলাতে গিয়ে সন্তানকে ঠিক মতো সময় দিতে পারেন না অনেক কর্মরত মহিলাই। এদিকে সন্তান বড় হওয়ার পর্যায়ে মাকে যে বড় প্রয়োজন!তাহলে উপায়? ওয়ার্কিং মাদার বা কর্মরত মায়েদের জন্যে রইল ৪ টিপসের সন্ধান।যা মেনে চললেই হবে সমস্যার সমাধান।   

১. সব কাজের জন্য সময় ভাগ করে নিন। যেমন অফিসের জন্যে সব মিলিয়ে ১০ ঘণ্টা, সংসারের জন্যে রাখুন ১.৫ ঘণ্টা এবং সন্তানের জন্যে ২.৫ ঘণ্টা রাখুন। একা সব কাজ সামাল দিতে না পারলে পরিচারিকার সাহায্য নিতে পারেন। টাইম ম্যানেজমেন্ট ঠিক করতে পারলেই চিন্তা দূর হবে। আর হ্যাঁ, এসব কিছুর মাঝে নিজের জন্যে আলাদা সময় বের করতে ভুলে যাবেন না যেন!

২. অফিসের কাজ বাড়িতে আনবেন না। অনেক মহিলাই অফিসে অনেক বড় বড় দায়িত্ব সামলান। তাই অনেক সময়ে অফিসের কাজ বাড়ি বয়ে আনতে হয়। তবে সন্তানকে সময় দিতে হলে চেষ্টা করবেন বাড়িতে অফিসের কাজ না আনার। এতে দেখবেন জীবন অনেক সহজ হবে।

৩. অফিসের লাঞ্চ ব্রেকে বা টি ব্রেক হলে সন্তানকে ভিডিয়ো কল করতে পারেন। সেই সময়ে দু’চার কথা বললে সন্তানের মন ভাল থাকবে। এতে আপনারও মন শান্ত হবে। আর খুদের মুখেও হাসি ফুটবে।

৪. কারও কথায় মন খারাপ একেবারেই নয়। অফিস-বাড়ি সামলিয়ে সন্তানের দায়িত্ব পালন করেন আপনি। তাই সব কিছুর মাঝে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। চারপাশে যে যাই বলুন না কেন, তাঁদের কথা ধরে মন খারাপ করলে চলবে না। কারণ আপনার জীবনে আপনাকেই লড়তে হবে। নিজেকে ভালো রাখতে হবে। সঙ্গে সন্তানের জীবনও গড়ে তুলতে হবে।