আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুপুরের আড্ডা হোক বা কফির কাপে দীর্ঘ আলাপচারিতা, বান্ধবীর সঙ্গে মনের কথা বলার মজাই আলাদা। কথার পিঠে কথা গড়ায়, অফিসের বসের গুষ্টির ষষ্ঠী থেকে শুরু করে নতুন কেনা শাড়ির গল্প— কিছুই বাদ যায় না। কিন্তু আড্ডার মোড় যখন নিজের ব্যক্তিগত জীবনের দিকে ঘোরে, তখন? সাবধান! সব কথা কিন্তু সখীর কানে তোলার জন্য নয়। কিছু কথা পেটে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ, নাহলে সাজানো সংসারে অশান্তির আগুন লাগতে বেশি সময় লাগবে না!

১. বেতনের অঙ্ক ও বিনিয়োগের সাতকাহন: আপনার স্বামী কত টাকা আয় করেন, কোথায় লগ্নি করেন বা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঠিক কতগুলো শূন্য রয়েছে, এই আলোচনা সযত্নে এড়িয়ে চলুন। আজ যিনি আপনার প্রিয় বান্ধবী, কাল তিনিই হয়তো নিজের স্বামীর সঙ্গে তুলনা টেনে আপনাকে হিংসে করতে পারেন।

২. শাশুড়ি-জামাইয়ের ‘কোল্ড ওয়ার’: স্বামীর সঙ্গে বাপের বাড়ির নরম-গরম সম্পর্ক? সেই কথাটি বান্ধবীর কানে তোলার আগে দু’বার ভাবুন। সব সম্পর্কের একটা নিজস্ব সমীকরণ থাকে। উপরে উপরে টক-ঝাল-মিষ্টি একটু এদিক ওদিক হলেও আগে খেয়াল করুন ভিতরে ভিতরে কোনও মনোমালিন্য রয়েছে কিনা। যদি তেমন কিছু না থাকে তাহলে এই কথা বান্ধবীকে বলার আগে সতর্ক হন। পাঁচকান হতে কতক্ষণ?

৩. ঘরের ভিতরের খুঁটিনাটি: আপনার স্বামীর কি আরশোলায় ভয়? বা তিনি কি অন্ধকারে একা শুতে পারেন না? এই ধরনের ব্যক্তিগত দুর্বলতার কথা আড্ডার ছলে বলাটাও কিন্তু ঠিক নয়। আজ যা হাসির খোরাক, কাল সেটাই হয়ে উঠতে পারে তাঁকে খোঁচা দেওয়ার অস্ত্র।

৪. দাম্পত্যের ‘সিক্রেট’ রেসিপি: আপনাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের রসায়ন, একান্ত ব্যক্তিগত মুহূর্তের কথা নিজের মধ্যেই রাখুন। এই বিষয়গুলো অত্যন্ত সংবেদনশীল। বান্ধবীর সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে অজান্তেই যদি নিজেদের সম্পর্কের গোপন বলয়টি নষ্ট করে ফেলেন, তাহলে পরবর্তীকালে ভুল বোঝাবুঝির তৈরি হতে পারে।

আসলে, বন্ধুত্ব আর দাম্পত্য— দুটোই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু দুটোর মধ্যে একটা লক্ষ্মণরেখা টানা জরুরি।