আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যতই আমরা ঘরদোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করি না কেন, বেশিরভাগ রান্নাঘর বাথরুমের চেয়ে নোংরা থাকে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। পুরোটা না হলেও রেস্তোরাঁ তো বটেই, গৃহস্থের রান্নারঘরও বেশ অপরিষ্কার থাকে। বিশেষ করে বাসন ধোয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই কিছু ভুল করে বসেন। যা থেকে বিভিন্ন রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

পরিচারিকা থাকুক বা না থাকুক, সকলেই বাড়িতে কম-বেশি বাসন ধুয়ে থাকেন। হাত দিয়ে কিংবা ডিসওয়াশের ব্যবহার, যেভাবেই বাসন ধুয়ে থাকুন তাতে সঠিক পদ্ধতি মেনে চলা জরুরি। তাহলে বাসন ধোয়ার সময়ে কোন কোন বিষয় খেয়াল রাখবেন , জেনে নিন।

থালা, গ্লাস ধুতে অতিরিক্ত সাবান ব্যবহার করা চলবে না। বাসন পরিষ্কার করতে খুব বেশি পরিমাণ সাবান লাগে না। বরং অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে তার অবশিষ্টাংশ থালা, গ্লাসে লেগে থাকে। যা খাবারের সঙ্গে পেটে গিয়ে সমস্যা তৈরি করে।

বাসন ধোয়ার জন্য কী ধরনের সাবান ব্যবহার করছেন তাও গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে ব্লিচ, ট্রাইক্লোসান বা অন্যান্য অ্যান্টিসেপটিক-সহ সাবান বা ডিটারজেন্ট এড়িয়ে চলাই ভালো। একইসঙ্গে ১৫ দিন অন্তর স্ক্রাব বা স্পঞ্জ বদলে নিন। দীর্ঘদিন একই স্পঞ্জ ব্যবহার করা উচিত নয়।

নোংরা সিঙ্ক বা ডিশ ওয়াশারে ভুলেও থালা-বাসন ধোবেন না।  মনে রাখবেন, সিঙ্কে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম জীবাণু ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমনকী সমীক্ষা বলছে, সাধারণত বাথরুম বা টয়লেটের ১০০,০০০ গুণ জীবাণু থাকে সিঙ্কে। ভিনিগার এবং বেকিং সোডা বা ভিনিগার এবং নুন দিয়ে প্রতিদিন সিঙ্ক বা ডিশ টব পরিষ্কার করা জরুরি।

ভালভাবে বাসন ধোওয়ার পর তা মুছে, শুকিয়ে তুলে রাখতে হবে। বাসন মোছার কাপড়ও নিয়মিত সাবান দিয়ে কেচে রাখতে হবে, নাহলে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ছড়াতে পারে।