আজকাল ওয়েবডেস্ক: বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তি আমাদের জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে গেছে। অফিসের মেইল লেখা থেকে শুরু করে রাতের খাবারে কী রান্না হবে তা ঠিক করতেও এখন অনেকেই ভরসা করেন চ্যাটজিপিটি’র উপর। তবে প্রযুক্তির সুবিধা যতই থাকুক, কিছু জিনিস কখনোই এই এআই টুলটির কাছে চাওয়া উচিত নয়। কারণ এর কিছু সীমাবদ্ধতা এবং কড়াকড়ি নিরাপত্তা নিয়ম রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের জানা থাকা উচিত।
১. “আমার বন্ধুর ইনস্টাগ্রামে হ্যাক করে দাও”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢোকার পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে বা কারও অ্যাকাউন্টে উঁকি দিতে ইচ্ছা হলে চ্যাটজিপিটি কোনোভাবেই সাহায্য করবে না। হ্যাকিং অবৈধ এবং চ্যাটজিপিটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা এমনভাবে তৈরি, যাতে একে এসব কাজে ব্যবহার না করা যায়।
২. “আমার ভবিষ্যৎ সঙ্গীর নাম কী?”
ভবিষ্যৎ নিয়ে কৌতূহল থাকাই স্বাভাবিক। তবে চ্যাটজিপিটি কোনো জ্যোতিষী নয়। এটি ভাগ্য বলতে পারে না বা প্রেমিক/প্রেমিকার নাম জানাতে পারে না। হ্যাঁ, মজার কুইজ বা রাশিফল বিশ্লেষণ করতে পারবে ঠিকই, কিন্তু ভবিষ্যদ্বাণী নয়।
৩. “গোপনে আমার পরীক্ষার উত্তর লিখে দাও”
চ্যাটজিপিটি যদি শেখার সহায়ক হয়, তবে পরীক্ষায় নকল করার মাধ্যম হওয়া একেবারেই অনুচিত। এখন অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান AI-চালিত লেখা শনাক্ত করার প্রযুক্তি ব্যবহার করে। পরীক্ষা বা অ্যাসাইনমেন্টে চ্যাটজিপিটির লেখা ব্যবহার করলে ধরা পড়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
৪. “একটা বোমা বানানোর উপায় বলো”
এই ধরনের অনুরোধ গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। চ্যাটজিপিটি এমন কোনো প্রশ্নের উত্তর দেবে না, যাতে সহিংসতা বা কারো ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। এআই প্রযুক্তি কঠোর নীতিমালার অধীনে পরিচালিত হয়।
৫. “অমুকের ফোন নম্বর বা ঠিকানা দাও”
চ্যাটজিপিটি কারো ব্যক্তিগত তথ্য জানে না এবং জানলেও কখনো তা প্রকাশ করে না। গোপনীয়তা রক্ষাই এটির অন্যতম মূলনীতি। তাই কারো ব্যক্তিগত তথ্য চাইলে আপনি পাবেন শুধু একটি মার্জিত না বলার উত্তর।
চ্যাটজিপিটি আমাদের জীবনে অনেকটাই সহায়ক হয়ে উঠেছে, কিন্তু এর কিছু সীমা রয়েছে। এই প্রযুক্তিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। নয়তো প্রযুক্তির অপব্যবহার আমাদের বিপদেই ফেলতে পারে।
