আজকাল ওয়েবডেস্ক: একদিকে গরম, অন্যদিকে মাঝেমধ্যেই ঝড়বৃষ্টি। আরশোলার জন্য একেবারে আদর্শ পরিবেশ। বিশেষ করে রান্নাঘর আর শৌচাগারে এই সময় আরশোলা গিজগিজ করে। অনেকে আরশোলা দেখলেই পিটিয়ে মারেন, কেউ আবার ভয় পেয়ে পালিয়ে আসেন। কিন্তু আরশোলার বংশ ধ্বংস হয় না। তাই বাড়ি থেকে আরশোলার উৎপাত কমাতে চাইলে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চলতে পারেন।
১. তেজপাতা: আরশোলারা তেজপাতার গন্ধ সহ্য করতে পারে না। রান্নাঘরের তাক, ক্যাবিনেট, ড্রয়ার এবং যেসব জায়গায় আরশোলার আনাগোনা বেশি, সেখানে কয়েকটি তেজপাতা রেখে দিন। পাতার গন্ধ কমে গেলে বদলে দিন।
২. নিম: নিম একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক কীটনাশক। নিম তেল কয়েক ফোঁটা জলের সঙ্গে মিশিয়ে একটি স্প্রে বোতলে ভরে নিন। এই মিশ্রণটি রান্নাঘরের কোণ, সিঙ্কের নিচে, দরজার ফাঁক এবং অন্যান্য জায়গায় নিয়মিত স্প্রে করুন। এছাড়া শুকনো নিম পাতাও গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দিতে পারেন।
৩. বেকিং সোডা ও চিনির মিশ্রণ: সমপরিমাণ বেকিং সোডা ও চিনি একসঙ্গে ভালভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ছোট পাত্রে বা কাগজের উপর করে রান্নাঘরের সেসব জায়গায় রাখুন যেখানে আরশোলা বেশি দেখা যায়। চিনি আরশোলাদের আকর্ষণ করবে এবং বেকিং সোডা তাদের পাচনতন্ত্রের ক্ষতি করে তাদের মেরে ফেলবে।
৪. বোরিক অ্যাসিড: বোরিক অ্যাসিড আরশোলা মারতে খুব কার্যকর। কিন্তু এই রাসায়নিক ব্যবহারের সময় অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া দরকার। আটা বা ময়দার সঙ্গে বোরিক অ্যাসিড ও সামান্য চিনি মিশিয়ে ছোট ছোট গুলি তৈরি করুন। এই গুলিগুলো সিঙ্কের নিচে, ফ্রিজের পিছনে, আলমারির কোণে বা আরশোলার চলাচলের রাস্তায় রেখে দিন। তবে মাথায় রাখবেন বোরিক অ্যাসিড মানুষের জন্যেও বিষাক্ত। তাই শিশু ও পোষ্যদের নাগালের বাইরে, সাবধানে ব্যবহার করুন।
৫. এসেনশিয়াল অয়েল: পেপারমিন্ট (পুদিনা), ল্যাভেন্ডার বা ইউক্যালিপটাস তেলের মতো কিছু অত্যাবশ্যকীয় তেলের তীব্র গন্ধ আরশোলাদের তাড়াতে সাহায্য করে। কয়েক ফোঁটা তেল জলের সঙ্গে মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে রান্নাঘরের বিভিন্ন কোণে, ফাটলে বা আরশোলার প্রবেশপথে স্প্রে করতে পারেন। এটি বাতাসকে সতেজ রাখতেও সাহায্য করে।
