আজকাল ওয়েবডেস্ক: ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছেন ঈশান কিষান। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট যেন নতুন জীবন দিয়েছে ঈশানকে। ঝাড়খণ্ডের অধিনায়ক ফাইনালে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন।
হরিয়ানার বিরুদ্ধে ফাইনালে ৪৯ বলে ১০১ রান করেন ঈশান। শতরান আসে মাত্র ৪৫ বলে। মারেন ১০টি ছয় ও ছয়টি চার। এবারের টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন ঈশান। ১০ ম্যাচে সংগ্রহ ৫১৭ রান। স্ট্রাইক রেট ১৯৭.৩২। এই পারফরম্যান্সের পরেও অবশ্য টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঈশান সুযোগ পাবেন না। অভিমানী ঈশানের কথায়, ‘এর আগেও ভাল পারফর্ম করেও জাতীয় দলে সুযোগ পাইনি। তখন সত্যিই খারাপ লেগেছিল। বুঝতে পেরেছিলাম আরও ভাল করতে হবে। দলকে জেতানোর মতো পারফরম্যান্স করতে হবে।’
তবে এখন আর হতাশ হন না ঈশান। বলেছেন, ‘আমরা অনেক সময় অনেক কিছুই আশা করি। দলে নিজের নাম না দেখলে একটু তো খারাপ লাগেই। কিন্তু মানসিকভাবে আমি এখন অনেক শক্ত। কোনও প্রত্যাশা নিয়ে খেলি না। শুধু নিজের কাজটা সঠিকভাবে করার চেষ্টা করি।’
প্রথমবার সৈয়দ মুস্তাক আলি টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট জিতল ঝাড়খণ্ড। সেটা ঈশানের নেতৃত্বে। ব্যাট হাতে গোটা টুর্নামেন্টে তিনি রান করেছেন। ফাইনালে একেবারে শতরান। ঈশান বলেছেন, ‘বলতে পারেন আমার ক্রিকেটজীবনের অন্যতম খুশির মুহূর্ত এই টুর্নামেন্ট জয়। আমরা আগে কখনও এই ট্রফিটা জিততে পারিনি। আমার নেতৃত্ব প্রথম ট্রফি এল। ভাল লাগাটাই স্বাভাবিক। বলতে পারেন এখন আমি অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। নিজের ব্যাটিংয়ের উপরও ভরসা বেড়েছে।’
এই পারফরম্যান্সের পর আর হতাশ হতে নারাজ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। বলেছেন, ‘হতাশা আরও পিছিয়ে দেয়। বরং পরিশ্রম বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। আত্মবিশ্বাস ধরে রাখা উচিত।’ তরুণদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘যেটা করতে চাও, সেটা লক্ষ্য রেখেই এগোতে হবে। লক্ষ্যে পৌঁছোতে হবে।’
২৭ বছরের ক্রিকেটার দেশের হয়ে ২টি টেস্ট, ২৭টি একদিনের ম্যাচ এবং ৩২টি টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০২৪ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর আচমকাই তিনি অবসাদে চলে যান। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) নির্দেশ মানেননি। ঝাড়খণ্ডের কর্তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতেন না। এই অবাধ্যতার জন্য শাস্তিও পেতে হয়েছে তাঁকে। ভারতীয় দল থেকেও চলে গিয়েছেন দূরে। তবে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের এই পারফরম্যান্স ফের আলোয় নিয়ে এল ঈশানকে।
