আজকাল ওয়েবডেস্ক: মল-মূত্র শরীরের বর্জ‌্য পদার্থ। যার মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন টক্সিক বা বিষাক্ত উপাদান সহ অনেক প্রয়োজনীয় উপাদানও শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তাই অনেক রোগের চিকিৎসা করতে মূত্র পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রস্রাবের রং, ধরন আমাদের শরীরের বেশ কিছু সমস্যার কথা জানান দিতে পারে। 

প্রস্রাব সাধারণত জলের মতো স্বচ্ছ অথবা হলদেটে হতে পারে। প্রস্রাবের সঙ্গে মাঝে মধ্যে ফেনা বার হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু অনেক সময় খুব বেশি গতিতে কিংবা স্বাভাবিক গতিতে মূত্র ত্যাগ করার পরও অতিরিক্ত ফেনা দেখা যায়। আর এটিই চিন্তার বিষয়। যদিও প্রস্রাবে বুদবুদ আর ফেনা এক নয়। বুদবুদ অনেক বড়, পরিষ্কার হয় ও ফ্লাশ করলে চলে যায়। অন্যদিকে, ফেনা হলে তা কিন্তু প্রস্রাবের পর জল দিলেও যায় না। জানেন কি প্রস্রাবে ফেনা হওয়ার কীসের লক্ষণ? 

প্রোটিনের পরিমাণ প্রস্রাবে বেড়ে গেলে ফেনা হয়। তবে সমস্যা এখানেই থমকে নেই। সাধারণত প্রোটিন কিডনি পরিশ্রুত করে না।‌ রক্তের প্রোটিন রক্তেই থাকে। যখন কিডনি প্রোটিন পরিশ্রুত করে, তখন তা মূত্র দিয়ে বেরিয়ে আসে।  যদি প্রস্রাবে প্রায়ই ফেনা হয় বা ফেনার মাত্রা সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে তাহলে তা রোগের লক্ষণ হতে পারে। 

কিডনির রোগে প্রস্রাবে প্রোটিন যেমন অ্যালবুমিন বেরিয়ে গেলে ফেনা হতে পারে। যা কিডনির রোগের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। যদি প্রস্রাব অধিকাংশ সময় ফেনাযুক্ত হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত। এছাড়া ডায়াবেটিসের রোগীদের মূত্রে অতিরিক্ত শর্করা থাকলে প্রস্রাবে ফেনা হতে পারে। 

কোন কোন পরীক্ষা করানো উচিত

ইউরিন রুটিন টেস্ট- প্রস্রাবে প্রোটিন, গ্লুকোজ এবং অন্যান্য উপাদান পরীক্ষার জন্য ইউরিন রুটিন টেস্ট করতে হয়। 
ব্লাড টেস্ট (কিডনি ফাংশন টেস্ট) কিডনি ঠিক মতো কাজ করছে কিনা জানার জন্য এই রুটিন টেস্ট করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
মাইক্রোঅ্যালবুমিন টেস্ট- প্রস্রাবের প্রোটিন পরীক্ষার জন্য এই টেস্ট করানো হয়।