আজকাল ওয়েব ডেস্ক: স্কুলে যেতে ইচ্ছা করছে না। বলছে, পেট ব্যথা করছে। দুধ খেতে ইচ্ছা না থাকলে বলছে গা গোলাচ্ছে। আপনার সন্তানের মধ্যে এই লক্ষণগুলি চেনা লাগছে? তবে আপনি একাই নয়, অনেক বাবা-মা-ই সন্তানের মিথ্যে কথার ফুলঝুরিতে হিমশিম খেয়ে যান। যা সামলাতে গিয়ে কখনও কখনও কড়া শাসন করেন অভিভাবকেরা। আবার অনেকে মজার ছলে উড়িয়েও দেন। কিন্তু বিষয়টি মজার নয়। বকাবকি করেও এই সমস্যার মোকাবিলা করা মুশকিল।
আসলে বড়দের সঙ্গে ছোটদের জগতের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। আমাদের কাছে মিথ্যা কথা বলাটা গর্হিত অপরাধ হতেই পারে। কিন্তু শিশুদের কাছে ওই সাদাকালোর বিভাজনটা অন্য রকম। সাধারণত ৪-৫ বছর বয়স থেকে শিশুরা গুছিয়ে মিথ্যা বলতে পারে। এই সময়ে বাবা-মাকে যেমন জানতে হবে কেন শিশু মিথ্যে কথা বলছে, তেমনই সঠিক কৌশলে তাঁর স্বভাব বদলানোর চেষ্টা করতে হবে।
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে স্বভাবে পরিবর্তন আসা জরুরি। বকা খাওয়ার হাত থেকে বাঁচতে ছোট ছোট মিথ্যে কথা বলা বাচ্চাদের খুবই সাধারণ প্রবণতা। এতে কোনও রকমের জটিলতা থাকে না। তাই এসব ক্ষেত্রে কড়া শাসনের বদলে সন্তানকে ভালভাবে বোঝাতে হবে। তাতেই দেখবেন কাজ হবে।
দিনকেদিন নালিশের পাহাড় বাড়তে থাকলে তা চিন্তার বিষয় বই কী! সেক্ষেত্রে সময় থাকতেই সতর্ক হন। যদি দেখেন খুব তুচ্ছ বিষয় নিয়েও শিশু মিথ্যে বলছে, কারওর বিরুদ্ধে সবসময় অভিযোগ করছে, তাহলে ভাল করে সবদিক খতিয়ে দেখুন। কখনই সন্তানকে সীমা অতিক্রম করতে দেবেন না।
বাড়িতে বাবা-মা, আর স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকার শেখানোর পদ্ধতি এক নয়। শিশু বাবা-মায়ের কাছে বেশি খোলামেলা কথা বলতে পারবে সেটাই স্বাভাবিক। আবার স্কুলে কোনও শিক্ষক বকাবকি করে না বলে সে ভাল, আর আপনি শাসন করলে খারাপ-এমন ধারণা যেন মনে না আসে। কারওর নামেই বানিয়ে কথা বলার অভ্যাসকে কখনই প্রশয় দেওয়া উচিত নয়।
শিশুকে নিজের মতো করে বেড়ে উঠতে সাহায্য করুন। জোর করে কোনও কিছুই চাপিয়ে দেবেন না। শুধু প্রয়োজন মতো সঠিক রাস্তা দেখিয়ে যান। ভুল করলে হাত ধরে শিখিয়ে দিন। তবে খেয়াল রাখবেন, আপনার এত চেষ্টার পরেও যদি সন্তান মিথ্যে কথা বলা না ছাড়ে, তা যদি অভ্যাসে পরিণত হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
