প্রতিটি বাড়ির ছাদের উপর থাকা জলের ট্যাঙ্কটি ঠিক সময়ে পরিষ্কার করা জরুরি। কারণ এতে ময়লা এবং শ্যাওলা জমে গেলে জল দূষিত হয়ে যায়। আর সেই দূষিত জল থেকে ত্বকের রোগ, পেটব্যথা এবং সংক্রমণের মতো নানা সমস্যা হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করার পরামর্শ দেন।
কীভাবে পরিষ্কার করবেন ট্যাঙ্ক
ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করা যায় কীভাবে, তা নিয়ে সকলেরই মাথাব্যথা থাকে এখন তো দীপাবলির ঘরদোর পরিষ্কার চলছে, তাই ঘরের সঙ্গে জলের ট্যাঙ্কটিও একবার পরিষ্কার করে নেওয়া ভাল। মাত্র ১০ টাকায় এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
আপনি কি জানেন শুধু নুন ব্যবহার করে কয়েক মিনিটেই জলের ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করা যায়?
নুনের সাহায্যে সহজ পরিষ্কার পদ্ধতি
এতে বেশি পরিশ্রমও লাগে না। একটি বালতিতে জল নিয়ে তাতে নুন গুলে ট্যাঙ্কের মধ্যে ঢেলে দিন এবং ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এই নুনজল ট্যাঙ্কের দেওয়ালে জমে থাকা শ্যাওলা এবং ময়লাকে নরম করে দেয়। এরপর ব্রাশ বা কাপড় দিয়ে হালকা হাতে ঘষে নিলেই ট্যাঙ্কের ভিতরের ময়লা সহজেই বার হয়ে আসবে।
কোনও রাসায়ানিকের প্রয়োজন নেই
এই প্রক্রিয়ায় কোনও রাসায়নিক ব্যবহার করার দরকার হয় না। ফলে জল নিরাপদ এবং বিশুদ্ধ থাকে। ট্যাঙ্কে যদি বেশি ময়লা জমে থাকে, তাহলে একটু বেশি নুন মিশিয়ে আরও ১০ মিনিট রেখে দিন। নুন প্রাকৃতিক ক্লিনার হিসাবে কাজ করে, ব্যাকটেরিয়াও নষ্ট করে এবং ট্যাঙ্কের দুর্গন্ধ দূর করে।
ধোয়ার পর যত্ন
পরিষ্কারের পর ট্যাঙ্কটি দু’বার পরিষ্কার জল দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন, যেন নুন বা ময়লার কোনও অংশ না থাকে।
তারপর নতুন জল ভরুন এবং ঢাকনাটি ভালোভাবে বন্ধ করে রাখুন, যাতে ধুলোবালি বা পোকামাকড় ঢুকতে না পারে। প্রতি তিন মাসে একবার ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করা উচিত।
নিয়মিত পরিষ্কারের উপকারিতা
এতে শুধু জল বিশুদ্ধ থাকে না, বরং পাইপলাইন এবং মোটরের আয়ুও বাড়ে।
নিয়মিত পরিষ্কার রাখলে জলে শ্যাওলা জমার সমস্যা দূর হয়।
দীপাবলির সময় এই সহজ উপায়টি মেনে চললে কয়েক মিনিটেই ট্যাঙ্কের জমে থাকা জেদি ময়লা দূর করা সম্ভব।
সবচেয়ে বড় কথা— পুরো প্রক্রিয়ায় খরচ হবে মাত্র ১০ টাকা।
ট্যাঙ্ক থেকে যদি দুর্গন্ধ আসে, তাহলে লেবুর খোসা বা সামান্য বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন। এই দু'টি প্রাকৃতিক উপাদান ট্যাঙ্ককে জীবাণুমুক্ত করে এবং সতেজ রাখে। অল্প পরিশ্রমে এইভাবেই আপনি পরিবারকে নানা রোগবালাই থেকে রক্ষা করতে পারেন।
