সুস্থ থাকার জন্য প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুবই উপকারী। অনেকেই তাই নিয়মিত ডিম খান। আসলে ডিমকে প্রোটিনের অন্যতম সেরা উৎস বলা হয়। এর পাশাপাশি ডিমে ক্যালসিয়াম, নানা ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে, যা শরীরের জন্য বহু উপকার করে। ডিম খেলে শরীরে শক্তি বাড়ে এবং স্বাস্থ্যগত উপকারের জন্য জলখাবার থেকে শুরু করে দুপুর বা রাতের খাবারেও এটি রাখা যায়। তবে কিছু নির্দিষ্ট রোগ বা শারীরিক সমস্যায় ডিম খাওয়া উল্টো ক্ষতিকর হতে পারে। তাই প্রশ্ন উঠছে, কোন কোন রোগে ডিম খাওয়া উচিত নয় এবং কেন তা ক্ষতি করে? জেনে নেওয়া যাক।
কোন কোন সমস্যায় ডিম খাওয়া উচিত নয়?
হজমজনিত সমস্যা:
মায়ো ক্লিনিকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডিম আমাদের পরিপাকতন্ত্রের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। যাঁদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ডিম খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। ডিম তুলনামূলকভাবে ধীরে হজম হয়, ফলে হজমের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। অনেক সময় ডিম খাওয়ার পর বদহজম, বমি, বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা বা পেটব্যথার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
উচ্চ কোলেস্টেরল:
শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। যদি খেতেই হয়, তবে ডিমের কুসুম বাদ দেওয়া ভাল। কারণ কুসুমে থাকা কোলেস্টেরল শরীরে এর মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়ায়।
হৃদরোগজনিত সমস্যা:
যাঁদের হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও ডিম খাওয়ায় সংযম রাখা জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ডিম না খাওয়াই ভাল। অতিরিক্ত ডিম খেলে রক্ত সঞ্চালনে বাধা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা বাড়তে পারে।
ডায়রিয়া:
কারও যদি ডায়রিয়ার সমস্যা থাকে, তাহলে ভুলেও ডিম খাওয়া উচিত নয়। এতে সমস্যা আরও গুরুতর হতে পারে।
ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স:
অনেকে একসঙ্গে একাধিক ডিম সেদ্ধ বা অমলেট আকারে খেয়ে ফেলেন, যা মোটেও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। অতিরিক্ত ডিম খাওয়ার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে এবং শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
ডিম পুষ্টিকর হলেও সকলের জন্য সমানভাবে উপকারী নয়। শরীরের অবস্থা, চলমান রোগ এবং হজমক্ষমতার উপর নির্ভর করে ডিম উপকারীও হতে পারে, আবার ক্ষতিকরও হতে পারে। তাই এটি নিয়ে সতর্ক হওয়া উচিত।
