বমি হওয়া একটি অস্বস্তিকর ও ক্লান্তিকর সমস্যা। এটি কখনও খাবারে বিষক্রিয়া, বদহজম, সংক্রমণ বা অতিরিক্ত যাত্রার কারণে হতে পারে। অনেকেই বমি ঠেকাতে ওষুধ খান, কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করলে এক্ষেত্রে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘরে থাকা কয়েকটি সাধারণ উপাদান ও সহজ কৌশল বমির সমস্যা কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

* আদা: আদা দীর্ঘদিন ধরে বমি প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি পেটের অস্বস্তি দূর করে, হজমে সহায়তা করে এবং বমি হওয়ার প্রবণতা কমায়। গরম আদা চা কিংবা ছোট টুকরো আদা চিবিয়ে খেলে দ্রুত আরাম মেলে।

আরও পড়ুনঃ ধাতু খেয়ে ২৪ ক্যারাট সোনা বার করছে ব্যাকটেরিয়া! বিরল আবিষ্কারে হতবাক বিজ্ঞানীরা

* পুদিনা: পুদিনার পাতার গন্ধ কিংবা পুদিনা চা বমি নিয়ন্ত্রণে দারুণ  কার্যকর। পুদিনার ঠান্ডা প্রভাব পেটকে শান্ত করে এবং বমির অনুভূতি কমায়। অনেক ক্ষেত্রে পেপারমিন্ট অয়েল ঘ্রাণ নেওয়াও উপকারী।

* লেবু: টাটকা লেবুর রস বা এর গন্ধ অনেক সময় বমি থামাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের সকালের বমিভাব কমাতে লেবুর সুগন্ধ দারুণ কাজে দেয়।

* পর্যাপ্ত ও তরল গ্রহণঃ বারবার বমি হলে শরীর থেকে অনেক তরল বের হয়ে যায়। এতে ডিহাইড্রেশন বা জলশূন্যতা দেখা দেয়। তাই অল্প অল্প করে জল, ডাবের জল, স্যুপ বা ওআরএস খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।

* হালকা খাবারঃ বমি হওয়ার পর ভারী বা মশলাদার খাবার না খেয়ে হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়া ভাল। যেমন ভাত, কলা বা স্যুপ। এগুলো পেটকে শান্ত রাখে এবং আবার বমি হওয়ার ঝুঁকি কমায়।

* অ্যাকুপ্রেশার ও শ্বাস-প্রশ্বাসঃ চীনা চিকিৎসাশাস্ত্রে ব্যবহৃত অ্যাকুপ্রেশারও বমি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর বলে গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে কবজির ভেতরের অংশে নির্দিষ্ট জায়গায় হালকা চাপ দিলে বমি কমে যায়। এছাড়া গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলনও স্নায়ুকে শান্ত করে এবং বমির অনুভূতি কমায়।

আরও পড়ুনঃ অবিশ্বাস্য সৌরচালিত ঘুমানোর ক্যাপসুল! হাড়কাঁপানো শীতে গৃহহীনদের জন্য অভিনব উদ্যোগ

* ভেষজ চাঃ ক্যামোমাইল বা মৌরি দিয়ে তৈরি ভেষজ চা পেটের গ্যাস, অ্যাসিডিটি ও বমি কমাতে সাহায্য করে। রাতে শোওয়ার আগে এই চা খেলে ভাল ঘুমও হয়।

কখন ডাক্তার দেখাবেন? যদি টানা একদিনের বেশি সময় ধরে বমি হয়, বমিতে রক্ত আসে, শরীর একেবারেই জল ধরে রাখতে না পারে বা ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ অর্থাৎ মুখ শুকিয়ে যাওয়া, প্রস্রাব কম হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।