গোটা পৃথিবী জুড়ে প্রতিনিয়ত কতকিছুই না অবিষ্কার হয়ে চলেছে। বিজ্ঞানের অবিশ্বাস্য কীর্তিতে তাক লেগে যায় বই কী! সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এক বিরল প্রজাতির ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পেয়েছেন, যার ক্ষমতা শুনলে অবাক হতে হয়। এই ব্যাকটেরিয়া বিভিন্ন ধাতু খেয়ে হজম করে এবং পরে বের করে দেয় খাঁটি ২৪ ক্যারেট সোনা! হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন। যতই অদ্ভুত লাগুক, বাস্তবেই প্রকৃতির এই রহস্যময় প্রক্রিয়া এখন গবেষকদের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু। অনেকেই মজা করে এই ব্যাকটেরিয়ার নাম দিয়েছেন “গোল্ড-পুপিং ব্যাকটেরিয়া”, যা এখন সারা বিশ্বে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। ব্যাকটেরিয়ার বিস্ময়কর ক্ষমতা দেখে বিস্মিত বিজ্ঞানীরাও। 

সাধারণত ধাতু জীবাণুর জন্য মারাত্মক বিষাক্ত। কিন্তু এই বিশেষ ব্যাকটেরিয়া ধাতুর ক্ষতিকর যৌগ ভেঙে তা সরল আকারে করে ফেলে। এরপর রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেগুলোকে রূপান্তরিত করে সোনার ক্ষুদ্র কণায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই কণাগুলো একত্রিত হয়ে তৈরি হয় খাঁটি সোনা।

 

আরও পড়ুনঃ অবিশ্বাস্য সৌরচালিত ঘুমানোর ক্যাপসুল! হাড়কাঁপানো শীতে গৃহহীনদের জন্য অভিনব উদ্যোগ


গবেষকরা জানিয়েছেন, পরীক্ষাগারে ব্যাকটেরিয়াটিকে বিশেষ ধাতব যৌগের সংস্পর্শে আনা হয়। কয়েক দিনের মধ্যেই দেখা যায়, ব্যাকটেরিয়ার বর্জের অংশে জমে উঠেছে সোনার ঝকঝকে কণা। এই সোনা এতটাই বিশুদ্ধ যে সেটি ২৪ ক্যারেট মানের।


বিজ্ঞানীদের মতে, যদিও এটি এক অবিশ্বাস্য আবিষ্কার, তবুও অর্থনৈতিক দিক থেকে এখনই সোনা উৎপাদনের কার্যকর সমাধান নয়। কারণ ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে সোনা উৎপাদনের প্রক্রিয়া খুবই ধীর এবং ব্যয়সাপেক্ষ। তবে জীববিজ্ঞানের দৃষ্টিতে এটি এক যুগান্তকারী আবিষ্কার, যা ভবিষ্যতে নতুন প্রযুক্তির পথ দেখাতে পারে।গবেষকদের ভাষায়, “এটি প্রকৃতির এক বিস্ময়। আমরা কখনও ভাবিনি কোনো জীবাণু ধাতু খেয়ে সোনা তৈরি করতে পারে।”