আজকাল ওয়েবডেস্ক: না না মোহনবাগানের সঙ্গে এই চায়ের কোনও সম্পর্ক নেই। এ আসলে সবুজ রঙের এমন এক চা যা মূলত জাপানে পান করা হয়। গোটা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাঙালির চায়ের কাপও আজ আর কেবল লালচা বা দুধচা-তে সীমাবদ্ধ নেই। জাপানি এই সবুজ গুঁড়োচা এখন বাংলাতেও স্বাস্থ্য সচেতন নাগরিকদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিচ্ছে।


মাচা চা আসলে কী?
মাচা হল এক ধরনের বিশেষভাবে উৎপাদিত ও প্রক্রিয়াজাত সবুজ চা পাতার গুঁড়ো। সাধারণ গ্রিন টির থেকে এটি আলাদা। এই চায়ের পাতাগুলি সূর্যের আলো থেকে আড়াল করে চাষ করা হয়। এর ফলে পাতায় ক্লোরোফিল বাড়ে। পরে সেই পাতা শুকিয়ে তা সূক্ষ্ম গুঁড়ো করে, সরাসরি গরম জলে মিশিয়ে পান করা হয়। ফলে এর পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণভাবে শরীরে প্রবেশ করে।

১. শক্তি বাড়ায়, সতেজ রাখে
মাচা চায়ে ক্যাফেইন থাকলেও তা ধীরে ধীরে রক্তে মেশে। এর সঙ্গে থাকে এল-থিয়ানিন নামক এক বিশেষ অ্যামিনো অ্যাসিড। এই উপাদানটি মনকে শান্ত রাখে, একাগ্রতা বাড়ায়। এই চা কফির মতো হঠাৎ করে উত্তেজনা বাড়ায় না, বরং দীর্ঘক্ষণ ধরে মস্তিষ্ককে সচল রাখে। ছাত্রছাত্রী, অফিস কর্মীদের মধ্যে তাই এর কদর দ্রুত বাড়ছে।

২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, রোগপ্রতিরোধে উপকারী
মাচা চা-তে থাকা ক্যাটেকাইন, বিশেষত এপিগ্যালোক্যাটেকিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ক্যানসার প্রতিরোধ, হজম, ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে দারুণ কার্যকর। গবেষণায় জানা গিয়েছে, এক কাপ মাচা চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সাধারণ গ্রিন টির চেয়ে ১০ গুণ বেশি।

৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
নিয়মিত মাচা চা পান করলে শরীরের বিপাক হার বেড়ে যায়। ফলে শরীরে জমে থাকা চর্বি দ্রুত ভাঙতে সাহায্য করে। ওজন কমানোর ডায়েট তালিকায় তাই মাচা চা এখন এক অবিচ্ছেদ্য নাম। যাঁরা চিনিমুক্ত ও স্বাস্থ্যকর পানীয় খুঁজছেন, তাঁদের জন্য এটি একটি আদর্শ বিকল্প।

কবে ও কীভাবে খাবেন?
সকালে খালি পেটে না খাওয়াই ভাল। তবে খাবারের ৩০ মিনিট আগে বা পরে খেলে বেশি উপকার। দিনে এক বা দুই কাপ যথেষ্ট। গরম জলে ১ চা চামচের বেশি না দেওয়াই ভাল।