আজকাল ওয়েবডেস্ক: টক দই এমন একটি দুগ্ধজাত খাদ্য, যা দুধের ল্যক্তব্যাসিলাস নামের এক ব্যাকটিরিয়ার গাঁজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়। ল্যাকটোজের গাঁজন প্রক্রিয়ায় ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি হয়, যা দুধের প্রোটিনের ওপর কাজ করে দইয়ের স্বাদ এবং এর গন্ধ তৈরি করে। টক দই প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি-সিক্স, টুয়েল্ভ, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ।

টক দই সরাসরি খাওয়া সবচেয়ে সহজ। তবে অনেকেই এখন ফল, শাকসবজি, এবং টক দই মিশিয়ে স্মুদি তৈরি করেন। যাঁদের কাছের স্বাদের গুরুত্ব একটু বেশি তাঁরা পেঁয়াজ, শসা, টমেটো, ধনে পাতা, এবং মশলা মিশিয়ে রায়তা তৈরি করতে পারেন।

টক দইয়ের উপকারিতা:
 * হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি:
   * টক দইয়ে প্রোবায়োটিক থাকে, যা হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
   * এটি পেটের সমস্যা, যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, এবং গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।

 * রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:
   * টক দইয়ে ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

 * হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে:
   * টক দইয়ে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি থাকে, যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
   * এটি অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।

 * ওজন নিয়ন্ত্রণ:
   * টক দইয়ে প্রোটিন থাকে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
   * ক্ষুধা কমাতে এবং অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ কমাতে সাহায্য করে টক দই।

 * ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখে:
   * টক দই ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে।
   * ব্রণ এবং ত্বকের অন্যান্য সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

 * রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ:
   * নিয়মিত টকদই খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে।
 * মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি:
   * মানসিক চাপ কমাতে টকদই সাহায্য করে।

কিছু সতর্কতা:
 * যাঁদের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স আছে, তাঁদের টক দই খাওয়া উচিত নয়।
 * টক দই খাওয়ার সময় চিনি বা লবণ মেশানো উচিত নয়।
 * শীতকালে বা যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত আছে, তাঁদের রাতে টক দই খাওয়া উচিত নয়।