আজকাল ওয়েবডেস্কঃ আজকাল ওজন কমাতে কিংবা সুস্বাস্থ্যের জন্য একেক জনকে একেক রকম নানা পন্থা অবলম্বন করতে দেখা যায়। কেউ মেনে চলেন কড়া ডায়েট, কারওর ডিটক্স পানীয়তে ভরসা। কেউ আবার ফাঁকি দেন না শরীরচর্চায়। শুধুই তো কড়া ডায়েট, শরীরচর্চা নয়,  মেদহীন চেহারার জন্য বিশেষ কিছু খাবারেও ভরসা রাখেন স্বাস্থ্যসচেতনরা। তেমনই একটি খাবার হল কফি। অনেকে ব্যায়ামের আগে কিংবা সকালে ঘুম থেকে উঠে দুধ, চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফিতে চুমুক দেন। আর এই কফি খেয়েই কমবে ওজন। তবে শুধু কফি নয়, তার সঙ্গে মেশাতে হবে ঘি। তাহলেই শরীর থেকে ঝরবে বাড়তি মেদ। শুধু তাই নয়, ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না রোগভোগ।

কফির স্বাস্থ্যগুণও প্রচুর। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে কফির বহুমুখী উপকার  রয়েছে। এমনকী নিয়মিত এই পানীয় পান করলে কমতে পারে বয়স, সম্প্রতি গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চমকে দেওয়া তথ্য। গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, কফি মস্তিষ্কের তীক্ষ্ণতা, মনের জোর বাড়ায়, দীর্ঘস্থায়ী একাধিক জটিল রোগ থেকে দূরে রাখে। মধ্যবয়সে অর্থাৎ ৪৫ থেকে ৬০ বছর বয়সিদের মধ্যে যাঁরা নিয়মিত ক্যাফেইনযুক্ত কফি পান করেছেন  তাঁদের সুস্থভাবে বার্ধক্যে পৌঁছনোর সম্ভাবনা বেশি। অর্থাৎ ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সে কোনও গুরুতর দীর্ঘস্থায়ী রোগ, স্মৃতিশক্তির সমস্যা বা শারীরিক অক্ষমতা ছাড়াই জীবনযাপন করতে পেরেছেন।

 

আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্যের কথা ভেবে চিনি খাওয়া ছেড়েছেন, কিন্তু চা-কফিতে মিষ্টি চাই? 'নো সুগার' ডায়েটে বিকল্প কী মেশাতে পারেন?

 

অন্যদিকে, ঘি-তে রয়েছে হজম ক্ষমতা বাড়ায়, ওজন কমাতে সাহায্য করে, জয়েন্টের ব্যথা কমায়, হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে। সার্বিকভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক ঘি।

ঘি কফি খেলে কী কী উপকার পাবেন

•    ঘি কফিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা শরীরে ফ্রি ব়্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। 
•    ঘি কফির স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খিদে নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে বার বার খাওয়ার প্রবণতা কমে। দিনের শুরুটা এই পানীয় দিয়ে করলে ওজন বাগে থাকে। 
•    অনেকেই শরীরচর্চা করার আগে ঘি কফি পান করেন। যা ব্যায়ামের সময় যেমন এনার্জি জোগায়, তেমনই সক্রিয়ভাবে ঘাম ঝরাতে সাহায্য করে।
•    ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে ঘি কফি। সকালে এই পানীয় দিয়ে দিন শুরু করলে রক্তে শর্করার ভারসাম্য ঠিক থাকে।
•    প্রায়ই গ্যাস-অম্বল, বদহজমের সমস্যায় ভোগেন? তাহলে এই পানীয় নিয়মিত খেতে পারেন। এটি হজম ক্ষমতা বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাতেও সুফল মেলে। 
•    বাতের ব্যথা থাকলে কিংবা হাঁটু, কোমরে ব্যথা থাকলে ঘি কফিতে ভরসা রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে দেশি ঘি ব্যথা উপশমে ভাল কাজ দেবে। 
•    ঘি কফিতে রয়েছে ওমেগা ৩, ৬ ও ৯। যা হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। এই পানীয়র ভিটামিন ও খনিজ উপাদান হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। 
•    নিয়মিত ঘি কফি খেলে অকাল বার্ধক্যের ছাপ পড়বে না। ত্বকে দাগছোপ, বলিরেখার সমস্যাও দূর হবে।

ঘি কফি খাওয়ার নিয়ম

*প্রথমে অল্প পরিমাণ ঘি মিশিয়ে খাওয়া শুরু করুন।
*সবচেয়ে ভাল উপকারিতার জন্য উচ্চ মানের ঘি ব্যবহার করুন। 
*স্বাদ বাড়ানোর জন্য ঘি কফিতে বিভিন্ন মশলা কিংবা প্রাকৃতিক মিষ্টি মেশাতে পারেন। 
*টাটকা রাখার জন্য ঠান্ডা, শুকনো জায়গায় ঘি রাখুন।