আজকাল ওয়েবডেস্ক: বর্ষা বঙ্গ জীবনের অঙ্গ। কিন্তু সমস্যার বিষয় হল, বর্ষাকাল এলেই শিশুদের মধ্যে সর্দি, কাশি, হালকা জ্বর বা গলা ব্যথার সমস্যা বেড়ে যায়। ঠান্ডা ও আর্দ্র আবহাওয়ায় শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা কমে যায়, ফলে ভাইরাল সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে। কিন্তু অনেক বাবা মা কথায় কথায় সন্তানকে ওষুধ খাওয়াতে পছন্দ করেন না। এই ভাবনা যে খুব একটা ভুল তাও বলা যায় না। বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এই সব ঘরোয়া টোটকায়।
১. তুলসি ও আদা
তুলসি পাতা, আদা ও এক চিমটে দারচিনির গুঁড়ো ফুটিয়ে নিন। এর পর সেই জল ঈষদুষ্ণ অবস্থায় এলে, শিশুকে দিনে ১-২ বার খাওয়ান ( অবশ্যই ১ বছরের বেশি বয়সি শিশু হতে তবে)। এটি গলা পরিষ্কার করে, সর্দি-কাশি কমায় এবং শরীর গরম রাখে।

২. গরম জল দিয়ে ভাপ (স্টিম)
সর্দি ও বন্ধ নাক থেকে মুক্তির অব্যর্থ উপায় এটি। একটি বড় পাত্রে গরম জল নিয়ে শিশুকে পাশে বসিয়ে ধীরে ধীরে ভাপ নিতে দিন। তাপে সর্দি কাশির জীবাণু মারা পড়ে, ফলে নাক ও শ্বাসনালী পরিষ্কার হয়।

৩. সরষের তেল ও রসুন
২ কোয়া রসুন সরষের তেলে গরম করে ঠান্ডা করে নিন। এর পর সেই তেল শিশুর বুকে, পিঠে ও পায়ে মালিশ করুন। এতে শরীর গরম থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

৪. মধু ও আদার রস
এক চামচ মধুর সঙ্গে ২ ফোঁটা আদার রস মিশিয়ে বাচ্চাদের খাওয়ালে কাশি কমে ও গলায় আরাম পাওয়া যায়। তবে খেয়াল রাখবেন এক বছরের কম বয়সী শিশুকে কখনওই মধু দেওয়া উচিত নয়। গলায় আটকে গিয়ে বিপদ ঘটে যেতে পারে।

৫. স্যুপ বা গরম তরল খাবার
বাড়িতে বানানো গরম চিকেন স্যুপ, ডাল বা হালকা লেবু-তুলসির জল শিশুর শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি চিকেন শক্তি জোগায় এবং স্ট্যু জলশূন্যতা ঠেকাতে সহায়তা করে। স্যুপের প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে রোগের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে।