কালীপুজো মানেই আলোর উৎসব। ছোটদের কাছে বাজি পোড়ানোর দিন। আনন্দে শামিল হন বড়রাও। তবে বাজি পোড়ানোর সময়ে সতর্ক না হলে বিপদ হতে পারে যখনতখন। সামান্য অসাবধানতায় হাত পুড়ে যাওয়া, বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে প্রাথমিকভাবে কী করলে দ্রুত আরাম পাবেন, জেনে রাখা জরুরি।
*হাত কিংবা পা অল্প পুড়ে গেলে কিছুক্ষণ ঠান্ডা জল ক্ষতস্থানে দিন। বরফ জল হলে বেশি উপকার পাবেন। তবে বরফ কিন্তু কোনেওভাবেই ঘষবেন না। চেষ্টা করুন, কলের তলায় হাত রেখে জল দিয়ে জায়গাটা ধুয়ে নেওয়ার। তাতেই প্রাথমিক কাজ শেষ। এরপর সেই জায়গায় সিলভার নাইট্রেট জাতীয় মলম লাগান।
*পোড়া স্থানে থাকা গয়না বা আঁটসাঁট জামা খুলে ফেলুন, যাতে রক্ত চলাচল ব্যাহত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
আরও পড়ুনঃ উৎসবের আলোতে অন্ধকার নেমে আসতে পারে চোখে! কালীপুজোয় চোখের ক্ষতি এড়াতে কী কী সতর্কতা মেনে চলবেন?
*অনেকে পুড়ে গেলে ঘরোয়া টোটকা হিসেবে টুথপেস্ট, ঘি, মাখন বা দুধ লাগান। যা আদতে কোনও লাভ হয় না। বরং উল্টে সংক্রমণ ঘটাতে পারে বা পোড়া জায়গার অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।
*পুড়ে যাওয়া স্থানে তীব্র যন্ত্রণা হতে পারে। বাড়িতে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ থাকলে খেয়ে নিন।
*হাত পুড়ে গেলে দ্রুত জ্বালাপোড়া, ব্যথা কমাতে অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। অ্যালোভেরায় অ্যান্টিইনফ্ল্যামটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা পোড়া জায়গার ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। এছাড়াও সামান্য কোনও জায়গায় ক্ষত হলে সামান্য মধু লাগাতে পারেন।

*পোড়া জায়গায় কখনও টুথপেস্ট, ঘরোয়া লোশন ব্যবহার করবেন না। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে। একইসঙ্গে ক্ষতস্থানে শক্ত ব্যান্ডেজ বেঁধে রাখবেন না, কারণ এটি আক্রান্ত স্থানে চাপ সৃষ্টি করে এবং ক্ষতস্থান শুকায় না।
*বাজি ধরাতে গিয়ে সামান্য আগুন লেগে গেলে আতঙ্কিত না হয়ে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করুন। একান্তই জল না পেলে ভারী কম্বল বা ভারী কাপড় চাপা দিতে হবে।
*ক্ষত বেশি থাকলে কোনও ঘরোয়া টোটকা না মেনে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। যত তাড়তাড়ি চিকিৎসা শুরু হবে, তত দ্রুত মিলবে স্বস্তি।
*অনেক সময় বাজির ফুলকি চোখে ঢুকে যায়। তখন চোখ দিয়ে অনবরত জল বেরয়, চোখ লাল হয়ে যায়। এমনকী দৃষ্টিশক্তিও কমে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সবার প্রথমে চোখে ঠান্ডা জল দিন। সমস্যা একটুও না কমলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
