আজকাল ওয়েবডেস্ক : কোনও এক সময় ছিল, যখন আমরা, পুরনো প্রজন্মের মানুষরা, পেন ও কাগজ ব্যবহার করে চিঠি লিখতাম এবং সেগুলি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাঠাতাম। আজকাল, পোস্টের মাধ্যমে শুধুমাত্র শুভেচ্ছা কার্ড পাঠানোই নয়, আমরা স্মার্টফোন এবং ডিজিটাল কম্পিউটার ব্যবহার করে অ্যাপ্লিকেশন, বার্তা এবং উত্তর পাঠানোর জন্য অক্ষর ও সংখ্যা টাইপ করি।
ডিজিটাল যুগে পৌঁছেও, যখন আমরা স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ করি, তখনও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের শিশুরা পাঠ শেখার সময়, হোমওয়ার্ক করা, পরীক্ষা দেওয়া এবং রচনা লেখার জন্য হাতের লেখা ব্যবহার করে। কাজ শেষ করার পর তারা আবার স্মার্টফোনে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে এবং হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে।
বিজ্ঞানী চার্লোট হু তার প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে কিছু গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন। যেখানে বলা হয়েছে যে হাতে লেখা লেখাটি মস্তিষ্কের একাধিক অঞ্চলের সাথে সম্পর্কিত এবং তা শেখা ও স্মৃতির জন্য সহায়ক।
কিছু গবেষণার ফলাফল উল্লেখ করা যাক। নরওয়ের ট্রন্ডহেমের প্রযুক্তিবিদদের একটি গ্রুপ, যারা শিক্ষাবিদদের সহায়তায় একটি গবেষণা করেছেন, তারা ‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন সাইকোলজি’ জার্নালে প্রকাশিত তাদের এক গবেষণায় বলেছেন, হাতের লেখা, টাইপিংয়ের তুলনায় মস্তিষ্কের আরও বিস্তৃত সংযোগ সৃষ্টি করে। অন্য কথায়, হাতের লেখা টাইপিংয়ের তুলনায় মস্তিষ্কে আরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
হাতের লেখার প্রশিক্ষণ কেবল বানান শুদ্ধতার উন্নতি ঘটায় না, বরং এটি স্মৃতিশক্তি ও স্মরণ শক্তির উন্নতিতেও সহায়ক। তাই প্রযুক্তি যতই উন্নতি করুক না কেন হাতে লিখে আমরা আজও নিজের শিক্ষাজীবন শুরু করি।
