আজকাল ওয়েবডেস্ক: জল শব্দটি দুই অক্ষরের হলেও জল আমাদের জীবনের বেঁচে থাকার রসদ। আমাদের পৃথিবী ৭ টি মহাসমুদ্র দিয়ে ঘেরা থাকলেও পানীয় জল কিন্তু মাত্র ১.২ শতাংশ যা ভাবলেই অবাক হতে হয়, তাই বিশ্বে পানীয় জলকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব শুধু আমাদের। ১৯৯৩ সালে প্রথম বিশ্ব জল দিবস পালন করা হয়, যা প্রত্যেক বছর পালন করা হচ্ছে।
জলের অপচয়ের কারণে আজ বিশুদ্ধ জলের মাত্রা অনেকাংশে কমে যাচ্ছে। আর যার ফলে মানুষকে জল ঘটিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ওয়াটার ডেভলপমেন্ট রিপোর্ট ২০২৩ অনুযায়ী, এই সমস্যার সমাধানের কথা তুলে ধরা হয়। এই ব্যবস্থাকে বাস্তবায়িত করতে হলে বছরে আনুমানিক ৬০০ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে বলে অনুমান।
পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধি, শিল্প, আর্থ সামাজিক উন্নয়ন প্রভৃতির জন্য জলের ব্যবহার প্রতি বছর ১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে,আশঙ্কা করা হচ্ছে ২০৫০ সালে এই হারে বৃদ্ধি পেলে জল সংকট আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সারা বিশ্বে যা জল আছে তার ৭০ শতাংশ মানুষ কৃষিকাজেই ব্যবহার করে, ফলে এখান থেকেও জলের ঘাটতি তৈরি হয়, তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন ড্রিপ সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে কৃষিকাজ করলে অনেকটা জল সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।
জাতি সংঘের সম্মেলনে প্রকাশিত নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বিশ্বের ২৬ শতাংশ মানুষের নিরাপদ পানীয় জলের পরিমাণ অনেকাংশে কমে গিয়েছে। ৪৬ শতাংশ মৌলিক স্যানিটেশনের অভাব রয়েছে। রাষ্ট্র সংঘের প্রাথমিক লক্ষ্য হল, ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য পরিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ ও স্যানিটাইজেশন এর ব্যবস্থা চালু করা।
গত ৪০ বছরে বিশ্বব্যাপী জলের ব্যবহার প্রায় ১ শতাংশ প্রতি বছর বৃদ্ধি পেয়েছে,২০৫০ সাল পর্যন্ত এই একই হারে জলের ব্যবহার বাড়বে তা অনুমান করা যায়। বিশ্বের এমন কিছু দেশ আছে যে দেশগুলিতে পানীয় জলের পরিমাণ একদমই কম, যেমন- লেবানন, কুয়েত ,সৌদি আরব। তাই আগামীদিনে সবথেকে বেশি যার দাম বাজারে হবে তার নাম জল। এর দাম হবে হাজার হাজার টাকা।
