আজকাল ওয়েবডেস্ক: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সমুদ্রের তলদেশে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের প্রস্তাব দিয়েছেন এক মার্কিন গবেষক। এই পরিকল্পনার লক্ষ্য, দূষণ কমানো এবং একই সঙ্গে পরিবেশে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কমানো। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, একটি পারমাণবিক বিস্ফোরণে ৩০ বছরের কার্বন নির্গমনকে আটকানো সম্ভব হবে।
২৫ বছর বয়সী মাইক্রোসফট সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সমুদ্রতলের কার্বন-শোষণকারী শিলা অপসারণের জন্য সমুদ্রের তলদেশে বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের পরামর্শ দিয়েছেন। আরএক্সআইভি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে অ্যান্ডি হ্যাভারলি দাবি করেছেন, এই পদক্ষেপে ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সমস্যার সমাধানে সহায়তা হতে পারে।
গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, প্রতি বছর ৩৬ গিগাটন কার্বন ডাই অক্সাইড বায়ুমণ্ডলে নির্গত হয়। ৮১ গিগাটন পারমাণবিক বিস্ফোরণের ফলন ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা ৩০ বছরের কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন আটকাতে পারবেন, গবেষণায় দাবি করা হয়েছে। এই বিস্ফোরণটি ১৯৬১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক পরিচালিত ৫০-মেগাটন 'জার বোম্বা' পরীক্ষার চেয়ে হাজার গুণেরও বেশি বড় হবে।
হ্যাভারলির জলবায়ু বিজ্ঞান বা পারমাণবিক প্রযুক্তি সম্পর্কে কোনও অভিজ্ঞতা না থাকলেও তিনি এই ক্রিস্টোফার নোলানের একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবি থেকে পেয়েছিলেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের গতি কমানোর জন্য এই ধরণের আমূল পরিকল্পনার প্রস্তাব এই প্রথম নয়। সূর্যের আলো কমানোর জন্য ব্রিটেন সরকার ৫৬৭ কোটি টাকা (৫০ মিলিয়ন পাউন্ড) ব্যয়ে একটি পরীক্ষা করার কথা ভাবছে। অ্যাডভান্সড রিসার্চ অ্যান্ড ইনভেনশন এজেন্সি (আরিয়া) প্রকল্পটিকে সমর্থন করছে, যা বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীদের আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছে। একটি পরীক্ষায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা পৃথিবীর স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে যাতে সূর্যের আলো আরও বেশি প্রতিফলিত হয়।
যদি সফল হয়, তাহলে এটি সাময়িকভাবে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা কমতে পারে। জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলায় এবং বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণে হার কমানোর জন্য আরও সময় পাওয়া যেতে পারে।
