আজকাল ওয়েবডেস্ক: এটা হয়তো অনেকেই জানেন না যে ইউএই হল এমন একটি দেশ যেখানে কোনও নদী বা পুকুর নেই। তবে তাতে কোনও পরোয়া নেই। তারা তাদের দেশের প্রতিটি নাগরিককে জলের যোগান দিয়ে যায়।


সংযুক্ত আরব আমিরাত মূলত শুষ্ক জলবায়ুর দেশ এবং জলের অভাব একটি গুরুতর সমস্যা। দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়ন, এবং অর্থনৈতিক কার্যকলাপের কারণে জলের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে, যা জল সম্পদের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করছে। ইউএই-এর সীমিত প্রাকৃতিক স্বাদু জলের উৎস এবং জলবায়ু পরিবর্তন এই সমস্যার সমাধানে আরও জটিলতা তৈরি করছে। 


ইউএই-তে বৃষ্টিপাত খুবই কম, যার কারণে স্বাদু জলের উৎস সীমিত। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে জলের চাহিদা বাড়ছে, যা জল ব্যবস্থাপনাকে আরও কঠিন করে তুলছে। 


ইউএই-এর উষ্ণ আবহাওয়া জলের বাষ্পীভবন বাড়িয়ে দেয় এবং জলের ঘাটতি আরও বাড়িয়ে তোলে। কৃষিকাজ এবং অন্যান্য কাজে ভূগর্ভস্থ জলের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে জলের স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। দ্রুত শিল্পায়ন এবং নগরায়ণের কারণে জলের চাহিদা বাড়ছে, যা পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাওয়া এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় জলের সঙ্কট আরও তীব্র হচ্ছে। 


ইউএই জল সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে:

ডিস্যালিনেশন প্রযুক্তি: সমুদ্রের জল থেকে লবণাক্ততা দূর করে পানীয় জল তৈরি করা হচ্ছে। 


জল সংরক্ষণ কৌশল: বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করা, ভূগর্ভস্থ জলের স্তর বজায় রাখা এবং জলের অপচয় রোধ করার জন্য বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করা হচ্ছে। 


কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার: সেচ ব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে জলের ব্যবহার কমানো হচ্ছে। 


পুনর্ব্যবহারযোগ্য জল ব্যবহার: বর্জ্য জল পুনর্ব্যবহার করে সেচ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।