আজকাল ওয়েবডেস্ক: একজীবনে প্রায় ৩০০ শিশু, নাবালিকাকে ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার অভিযোগ এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। বর্তমানে জেলবন্দি ৭৪ বছর বয়সি অভিযুক্ত চিকিৎসক। ফেব্রুয়ারির শেষেই যৌন হেনস্থা ও ধর্ষণের একাধিক মামলার ট্রায়াল শুরু হবে ফ্রান্সে। দোষী সাব্যস্ত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে এই ফ্রেঞ্চ সার্জনের। 

 

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অভিযুক্ত চিকিৎসক হল জোয়েল লে স্কাউরনেক। পুলিশ সূত্রে খবর, মূলত শিশু, নাবালিকা রোগীদের ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থা করত সে। তার বিরুদ্ধে ১১১টি ধর্ষণ এবং ১৮৯টি যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে। ৩০০ নির্যাতিতার মধ্যে ২৫৬ জনের বয়স ছিল ১৫ বছরের নীচে। গড়ে তাদের বয়স ছিল ১১ বছর। নির্যাতিতাদের মধ্যে একবছরের শিশুও রয়েছে। ১৯৮৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার ঘটনাগুলো সে ঘটিয়েছে। 

 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, নির্যাতিতাদের মধ্যে তার দুই খুদে আত্মীয়ও রয়েছে। এই ঘটনায় ২০২০ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৫ বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা কর হয়েছিল সে সময়। ২০১৭ সালে এক প্রতিবেশী নাবালিকা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলে। এরপর আরও একাধিক নির্যাতিতা থানায় গিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। যৌন হেনস্থার কয়েক দশক পর অনেকেই মুখ খোলেন তার বিরুদ্ধে। 

 

চিকিৎসকের ঘর থেকে তিন লক্ষ অশ্লীল ছবি, প্রচুর সেক্স টয়, শিশুদের সঙ্গে সঙ্গমের ছবি উদ্ধার করে পুলিশ। একটি ডায়েরিতে নির্যাতিতাদের নাম লিখে রেখেছিল সে। সেখানেই উল্লেখ রয়েছে, একাধিক নাবালিকাকে অপারেশন টেবিলেও যৌন হেনস্থা করেছিল সে। বারবার যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠার পর ভিন্ন শহরে গিয়ে হাসপাতালে কাজে যোগ দিত সে। তার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রাক্তন স্ত্রীও।